প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় -
A
ভুটান
B
যুক্তরাজ্য
C
পোল্যান্ড
D
ফ্রান্স
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ধাপে ধাপে দেশটিকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।
-
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথম দেশ হিসেবে ভুটান এবং দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
বিশ্বের তৃতীয় দেশ ও প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
অন্যান্য দেশগুলোর স্বীকৃতি সময়সূচি:
-
পোল্যান্ড: ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি
-
যুক্তরাজ্য: ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
-
ফ্রান্স: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
-
স্পেন: ১২ মে, ১৯৭২
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করবেন?
Created: 1 month ago
A
১৫ নং
B
১৭ নং
C
১৮ক নং
D
১৯ নং
বাংলাদেশের সংবিধান নাগরিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানা ধারা নির্ধারণ করেছে। সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবে।
১৯ নং অনুচ্ছেদের উপবিভাগসমূহ:
-
১৯(১): রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
-
১৯(২): সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য দূরীকরণ, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং দেশের সর্বত্র সমান স্তরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
-
১৯(৩): জাতীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
অন্য অনুচ্ছেদসমূহের উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
১৫ নং অনুচ্ছেদ: মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
১৭ নং অনুচ্ছেদ: অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা।
-
১৮ক নং অনুচ্ছেদ: পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২০১০ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০০৯ সালে
D
২০১৬ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy):
-
বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই কৌশল প্রণয়ন করে।
-
কৌশলে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারের শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
-
শুদ্ধাচার বলতে বোঝানো হয়েছে নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা।
উৎস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
মারি চুক্তি কত সালে সম্পাদিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
মারি চুক্তি (১৯৫৫)
-
প্রেক্ষাপট:
-
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় গণপরিষদ ১৯৫৫ সালের ৭ জুলাই মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
এই অধিবেশনে পাকিস্তানের সব প্রদেশের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্ট, সংবিধান সংক্রান্ত আপোস চুক্তি সম্পাদন করেন।
-
-
চুক্তির খসড়া:
-
চুক্তি ‘মারি চুক্তি’ নামে পরিচিত।
-
এতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উভয় অঞ্চলের সংসদ সদস্য একমত হন।
-
স্বাক্ষরকারীরা ছিলেন: এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান, মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
-
চুক্তির পরবর্তী ঘটনা:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন এ. কে. ফজলুল হক।
-
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
-
প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের সব প্রদেশ একত্রিত হয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) সংগ্রামের নোটবুক
iii) স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
0
Updated: 1 month ago