রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স কত?
A
৩০ বছর
B
৪০ বছর
C
৩৫ বছর
D
৪৫ বছর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও ক্ষমতা সংবিধানে নির্ধারিত। রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক কর্মকর্তা হিসেবে বিচারিক এবং প্রশাসনিক বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
-
রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য বয়স অন্তত ৩৫ বছর হতে হবে।
-
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা (৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে):
-
আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন বা বিরাম মঞ্জুর করা,
-
যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার অধিকার রাষ্ট্রপতির আছে।
-
-
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য কেউ হতে পারবে না, যদি:
-
তাঁর বয়স ৩৫ বছরের কম হয়,
-
তিনি সংসদ-সদস্য হওয়ার যোগ্য না হন, বা
-
তাঁকে সংবিধান অনুযায়ী অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়ে থাকে।
-
0
Updated: 1 month ago
উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপনকারী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কোন রাজনৈতিক সদস্য ছিলেন?
Created: 4 weeks ago
A
মুসলিম লীগ
B
কৃষক প্রজা পার্টি
C
স্বরাজ দল
D
কংগ্রেস
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিদার ছিলেন। তিনি ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর (১২৯৩ বাংলা সালের ১৬ কার্তিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তরে রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন মুনসেফ কোর্টের সেরেস্তাদার।
-
শিক্ষা:
-
১৯০৪ সালে নবীনগর হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা
-
১৯০৮ সালে কলকাতা রিপন কলেজ থেকে বি.এ
-
১৯১০ সালে একই কলেজ থেকে বি.এল পরীক্ষা পাশ
-
-
পেশাগত জীবন: ১৯১১ সালে কুমিল্লা জেলা বারে যোগদান
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড:
-
১৯০৭ সালে ত্রিপুরা হিতসাধনী সভার সেক্রেটারি নির্বাচিত
-
১৯৪৮ সালে গণপরিষদের অধিবেশনে কংগ্রেস দলীয় সদস্য হিসেবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন
-
-
উপলব্ধি:
-
১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
-
১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি
-
0
Updated: 4 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র 'অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী' এর পরিচালক কে?
Created: 1 month ago
A
শাহরিয়ার কবির
B
সুভাষ দত্ত
C
তারেক মাসুদ
D
খান আতাউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসকে জীবন্তভাবে তুলে ধরে, যা দর্শককে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সচেতন করে।
-
Stop Genocide – জহির রায়হান
-
ওরা ১১ জন – চাষী নজরুল ইসলাম
-
আবার তোরা মানুষ হ – খান আতাউর রহমান
-
হাঙ্গর নদী গ্রেনেড – চাষী নজরুল ইসলাম
-
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী – সুভাষ দত্ত
0
Updated: 1 month ago
কত সালে বিখ্যাত 'মারি চুক্তি' সম্পাদিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৪ সালে
B
১৯৫৫ সালে
C
১৯৫৬ সালে
D
১৯৫৭ সালে
মারি চুক্তি হলো ১৯৫৫ সালে সম্পাদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আপোস চুক্তি, যা পাকিস্তানের সংবিধান রচনার সংকট সমাধানে দ্বিতীয় গণপরিষদের অধিবেশনে করা হয়।
-
প্রেক্ষাপট: স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় গণপরিষদ ৭ জুলাই ১৯৫৫ সালে মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
চুক্তি সম্পাদনকারীগণ: এ.কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান ও মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু:
১. পাকিস্তানে দুটি প্রদেশ থাকবে: পূর্ব পাকিস্তান (পূর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন) এবং পশ্চিম পাকিস্তান (পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশ একত্রিত করে)।
২. উভয় প্রদেশে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে।
৩. উভয় প্রদেশে সংখ্যাসাম্য নীতি (Principle of Parity) কার্যকর করা হবে।
৪. যুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
৫. বাংলা ও উর্দু উভয়ই রাষ্ট্রভাষা হবে। -
চুক্তির পরবর্তী প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এ.কে. ফজলুল হক, আর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশ একত্রিত করে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ, গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
0
Updated: 1 month ago