সর্বোচ্চ কত শতাংশ মন্ত্রী সংসদ সদস্য না হয়েও নিয়োগ পেতে পারেন?
A
৫%
B
৮%
C
১০%
D
১৫%
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানে মন্ত্রিপরিষদের গঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রাধান্য নিশ্চিত করা। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৬(২) অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদের অধিকাংশ সদস্য সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ পেতে হবে।
-
সংবিধানের ৫৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের অন্তত নয়-দশমাংশ (৯০%) সংসদ সদস্য হতে হবে।
-
এভাবে নিশ্চিত করা হয় যে তাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা প্রতিফলিত করবেন।
-
মন্ত্রিপরিষদের বাকি সর্বোচ্চ দশ শতাংশ (১০%) সদস্য হতে পারেন এমন ব্যক্তি, যারা সরাসরি সংসদ সদস্য নন কিন্তু সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
0
Updated: 1 month ago
পিআর নির্বাচন পদ্ধতিতে আসন বণ্টন কিসের ভিত্তিতে হয়?
Created: 1 month ago
A
এলাকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে
B
রাজনৈতিক দলের বয়সের ভিত্তিতে
C
সর্বাধিক ভোট পাওয়া প্রার্থীর ভিত্তিতে
D
প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে
পিআর (Proportional Representation) নির্বাচন পদ্ধতি
-
সংজ্ঞা:
-
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) এমন একটি নির্বাচন পদ্ধতি যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে।
-
এতে প্রতিটি ভোট কাজে লাগে এবং সংসদে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো দল যদি ১০% ভোট পায়, তাদের আসনও হবে প্রায় ১০% হারে।
-
-
প্রক্রিয়া:
-
ভোটের আগে প্রতিটি দল ক্রম ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে।
-
প্রাপ্ত ভোটের হার অনুযায়ী সংসদে আসন বণ্টন হয়।
-
-
ধরণসমূহ:
১. মুক্ত তালিকা পদ্ধতি: ভোটের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে আসন বরাদ্দ।
২. বদ্ধ তালিকা পদ্ধতি: দল নির্ধারণ করে কে হবেন সংসদ সদস্য।
৩. মিশ্র পদ্ধতি: কিছু আসন প্রতীকভিত্তিক, কিছু পিআর ভিত্তিক। -
বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট:
-
দেশে বর্তমান সংসদীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় ৩০০টি আসনে আলাদা প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন হয়।
-
‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (FPTP) পদ্ধতিতে যে দল বেশি আসনে জয় পায়, তারা সরকার গঠন করে, ভোটের মোট শতাংশ নয়।
-
উৎস: BBC
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ - ৭৭
B
অনুচ্ছেদ - ৭১
C
অনুচ্ছেদ - ৭৩
D
অনুচ্ছেদ - ৭৬
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৭নং অনুচ্ছেদ ন্যায়পাল এবং তার কর্তৃত্ব ও দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
ন্যায়পালের পদ-প্রতিষ্ঠা: সংসদ আইনের মাধ্যমে ন্যায়পালের পদ স্থাপন করা যায়।
-
ক্ষমতা ও দায়িত্ব: সংসদ আইনের মাধ্যমে ন্যায়পালকে মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম তদন্ত করার ক্ষমতা এবং অন্যান্য নির্ধারিত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ন্যায়পাল এই ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করবেন।
-
বার্ষিক রিপোর্ট: ন্যায়পাল তার দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বার্ষিক রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন, যা সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
অন্য প্রাসঙ্গিক সংবিধানিক অনুচ্ছেদ:
-
৭৬নং অনুচ্ছেদ: সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
-
৭১নং অনুচ্ছেদ: দ্বৈত সদস্যতায় বাধা
-
৭৩নং অনুচ্ছেদ: সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
0
Updated: 1 month ago
খসড়া সংবিধান গণপরিষদে কবে উত্থাপিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১১ এপ্রিল, ১৯৭২
B
১০ জুন, ১৯৭২
C
১২ অক্টোবর, ১৯৭২
D
৪ নভেম্বর, ১৯৭২
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে।
-
১১ এপ্রিল ১৯৭২, ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
-
কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল।
-
দীর্ঘ আলোচনার পর ১২ অক্টোবর ১৯৭২ সালে সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে উত্থাপিত হয়।
-
পরবর্তীতে, ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সালে সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে গণপরিষদে গৃহীত হয়।
-
সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে।
0
Updated: 1 month ago