বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবনের আয়তন কত?
A
২৪০০ বর্গমাইল ১
B
৯৫০ বর্গমাইল
C
৯২৫ বর্গমাইল
D
২০০ বর্গমাইল
উত্তরের বিবরণ
সুন্দরবনের মোট আয়তন ৩৮৬০ বর্গমাইল বা ১০০০০ বর্গকি.মি প্রায়।
- এর মধ্যে ৩/৫ অংশ বা ২৩১৮ বর্গমাইল বা ৬০০০ বর্গকি.মি বাংলাদেশ অংশে পড়েছে।
- কাছাকাছি অপশন হিসাবে ক) ২৪০০ বর্গমাইল অপশনটি নেওয়া হলো।
উল্লেখ্য,
- ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ৭৯৮ তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
- এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং বাংলাদেশের জাতীয় বন।
উৎস: বাংলাদেশ বনবিভাগ ওয়েবসাইট ও ব্রিটানিকা।
0
Updated: 3 months ago
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় -
Created: 1 week ago
A
পাগ-মার্ক
B
ফুটমার্ক
C
GIS
D
কোয়ার্ডবেট
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি, যা বাংলায় বলা হয় “পদচিহ্ন বা পায়ের ছাপের মাধ্যমে গণনা”। এই পদ্ধতিতে বাঘের চলাফেরার পথে তাদের পদচিহ্ন সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে বাঘের আনুমানিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এটি বহু বছর ধরে সুন্দরবনের বাঘ গণনায় একটি ঐতিহ্যবাহী ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• “পাগ-মার্ক পদ্ধতি” মূলত বাঘের পায়ের ছাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নির্ধারণের একটি প্রাচীন ও কার্যকর কৌশল। বাঘের প্রতিটি পদচিহ্নের আকার, গভীরতা ও নকশা আলাদা হয়ে থাকে, যা দিয়ে এক বাঘকে অন্য বাঘ থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়।
• সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের পদচিহ্ন মাটিতে, বালিতে বা কাদা জমিতে খুব স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। বন বিভাগের কর্মীরা এই ছাপগুলো প্লাস্টার কাস্ট বা মাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ করেন।
• প্রতিটি পদচিহ্নের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আঙুলের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করেন, পদচিহ্নটি পুরুষ না স্ত্রী বাঘের, এবং একই বাঘের পুনরাবৃত্তি হয়েছে কি না।
• পাগ-মার্ক পদ্ধতি ব্যয়সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হওয়ায় অতীতে সুন্দরবনে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হতো, বিশেষ করে যখন আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ক্যামেরা ট্র্যাপ বা ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রচলিত ছিল না।
• তবে বর্তমানে এই পদ্ধতির সঙ্গে ক্যামেরা ট্র্যাপ ও GIS প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হচ্ছে, যাতে গণনা আরও নির্ভুল হয়। তবুও, প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পাগ-মার্ক পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• এই পদ্ধতি শুধু সংখ্যা নয়, বরং বাঘের গমনপথ, কার্যক্ষেত্র (territory), ও আচরণগত তথ্য সম্পর্কেও ধারণা দেয়।
• যদিও এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা আছে—যেমন একই বাঘের একাধিক ছাপ গণনায় আসতে পারে বা বৃষ্টিতে ছাপ নষ্ট হতে পারে—তবুও সুন্দরবনের কঠিন ভূপ্রকৃতির কারণে এটি এখনো বহুল ব্যবহৃত একটি কার্যকর উপায়।
সবশেষে বলা যায়, সুন্দরবনের বাঘ গণনায় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি সবচেয়ে প্রচলিত এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি, যা বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) পাগ-মার্ক।
0
Updated: 1 week ago
সুন্দরবনের আয়তন প্রায় কত বর্গ কিলোমিটার?
Created: 5 months ago
A
৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার
B
৪১০০ বর্গ কিলোমিটার
C
৫৮০০ বর্গ কিলোমিটার
D
৬৯০০ বর্গ কিলোমিটার
সুন্দরবন
-
সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বা স্রোতজ বনভূমি।
-
এর মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার, যা মোট আয়তনের প্রায় ৬২%।
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্বের ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থল হিসেবে ঘোষণা করে।
-
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো ‘সুন্দরী’ গাছ। এই গাছের নাম থেকেই বনের নাম ‘সুন্দরবন’।
-
সুন্দরবনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গাছের মধ্যে রয়েছে গরান, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি।
উৎস: বনবিভাগ ওয়েবসাইট, ভূগোল ও পরিবেশ : নবম-দশম শ্রেণী।
0
Updated: 5 months ago
সুন্দরবন-এর কত শতাংশ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে পড়েছে?
Created: 2 months ago
A
৫০%
B
৫৮%
C
৬২%
D
৬৬%
সুন্দরবন
সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপ এলাকায় বিস্তৃত। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী বনটি কর্কটক্রান্তির কিছুটা দক্ষিণে ২১°৩০´-২২°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০০´-৮৯°৫৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে রয়েছে।
এই বিশাল বনভূমির মোট আয়তনের প্রায় ৬২ শতাংশ বাংলাদেশের ভেতরে পড়েছে। বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের সবচেয়ে বড় একক বনভূমি। বনের বাকি অংশ ভারতের অন্তর্গত।
সুন্দরবন মূলত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বিস্তৃত। এখানে প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী গাছ, যাকে কেন্দ্র করে বনটির নামকরণ হয়েছে। এছাড়া বনটিতে গরান, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি বৃক্ষও প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
এসব কারণে সুন্দরবনকে শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো পৃথিবীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, বনবিভাগ, ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি)।
0
Updated: 2 months ago