নিচের কোনটি মানব সৃষ্ট দুর্যোগ?
A
নদীভাঙন
B
ঘূর্ণিঝড়
C
রাসায়নিক দূষণ
D
খরা
উত্তরের বিবরণ
- রাসায়নিক দূষণ মানব সৃষ্ট দুর্যোগ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলতে প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা সংঘটিত দুর্যোগসমূহকে বুঝায়।
- যেমন: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, খরা, নদীভাঙন, সুনামি, আগ্নেয়গিরির, ইত্যাদি।
• মানব- সৃষ্ট দুর্যোগ:
- মানব-সৃষ্ট দুর্যোগ বলতে মানব কর্মকান্ডের ফলে সংঘটিত দুর্যোগসমূহকে বুঝায়।
- যেমন: জলাবদ্ধতা, অগ্নিকাণ্ড, রাসায়নিক দূষণ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা,
বনাঞ্চল ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ, মরুকরণ, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
How many major physiographic regions are there in Bangladesh?
Created: 3 weeks ago
A
3
B
4
C
5
D
6
বাংলাদেশ একটি বৃহৎ নদীবিধৌত ব-দ্বীপ, যার ভৌগোলিক গঠন উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে বিস্তৃত। দেশের প্রায় সব এলাকা নদীবিধৌত পলল দ্বারা গঠিত সমভূমি, যা প্রায় ১৮-২২ কিলোমিটার পুরু। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি তার বৈচিত্র্যের উপর ভিত্তি করে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় সৃষ্ট পাহাড়গুলোকে এই নামে পরিচিত।
-
এই যুগের সময়কাল প্রায় ২০ লক্ষ বছর পূর্বে।
-
রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জের পাহাড়সমূহ এই যুগের।
-
এ পাহাড়গুলোকে আসামের লুসাই এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলা হয়।
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত।
-
এগুলোকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল হিসেবে দুইভাগে ভাগ করা যায়।
-
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
-
প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
মাটির রঙ লাল ও ধূসর।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয় যে এই উচ্চভূমিগুলো প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছে।
-
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড় এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ব্যতীত দেশের সমগ্র এলাকা সাম্প্রতিককালের পলি দ্বারা গঠিত।
-
এই প্লাবন সমভূমির বয়স ১২,০০০ বছরের কম।
-
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা সহ অসংখ্য উপনদী এবং শাখানদী সমগ্র দেশে ছড়িয়ে রয়েছে।
-
বন্যার সঙ্গে বাহিত পলিমাটি জমে এই সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
-
আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
-
অঞ্চলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও নিম্নভূমি, যা স্থানীয়ভাবে বিল, ঝিল ও হাওড় নামে পরিচিত।
-
উল্লেখযোগ্য বিল ও হাওড়: রাজশাহীর চলনবিল, ঢাকার আড়িয়াল বিল, গোপালগঞ্জের বিল, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার হাওড় ও বিল।
-
মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত প্রধান দ্বীপগুলো: হাতিয়া, সন্দ্বীপ, শাহবাজপুর ও ভোলা। এছাড়া দক্ষিণ উপকূলে আরও ছোট দ্বীপ রয়েছে।
-
0
Updated: 3 weeks ago
'এল নিনো' কোন মহাসাগরের জলতাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে ঘটে?
Created: 3 weeks ago
A
ভারত মহাসাগর
B
আটলান্টিক মহাসাগর
C
আর্কটিক মহাসাগর
D
প্রশান্ত মহাসাগর
এল নিনো হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আবহাওয়াগত ঘটনা, যা সাউদার্ন অসকিলেশন (ENSO) নামক জলবায়ুর ধরণের দুটি অংশের একটি। এটি মূলত ক্রান্তীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বাতাসের ধারা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার অনিয়মিত কিন্তু পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
• এল নিনো বলতে ইএনএসও-র উষ্ণায়ন পর্যায়কে বোঝানো হয়।
• এই সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং জলবায়ুর স্বাভাবিক ধারা পরিবর্তন করে।
• লা নিনা হলো এর বিপরীত বা শীতলকরণ পর্যায়, যখন সমুদ্রের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়।
• এল নিনোর বছরে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা সাধারণত প্রায় ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়।
• অপরদিকে, লা নিনা চলাকালীন প্রায় একই পরিমাণে তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
• এই দুই অবস্থার মধ্যবর্তী সময়ে জলবায়ু তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকে, যা নিরপেক্ষ পর্যায় নামে পরিচিত।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৫ সালের ১৭ অক্টোবর
B
১৯৭৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর
C
১৯৭৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর
D
১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর
জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সম্পর্কিত তথ্যসমূহ:
-
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
যে কোনো শান্তিকামী স্বাধীন দেশ, যা জাতিসংঘ চার্টারের নিয়মকানুন মেনে চলে, সদস্য হতে পারে।
-
বর্তমানে বিশ্বের ১৯৩টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য, যার মধ্যে দক্ষিণ সুদান সর্বশেষ, অর্থাৎ ১৯৩তম সদস্য।
-
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সর্বোচ্চ শান্তি সেনা প্রেরণকারী দেশ।
-
১৯৮৮ সালে ইরাক ও নামিবিয়ার শান্তি মিশনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ শুরু করে।
-
সদস্যপদ লাভের পর থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়।
-
১৯৭৯-৮০ সালে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদে বাংলাদেশের নির্বাচন বিশ্ব সম্প্রদায়ের আস্থা এবং বাংলাদেশের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।
-
১৯৮৪ সাল থেকে জাতিসংঘের কার্যপ্রণালিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার শুরু হয়, যা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের।
-
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago