বাংলাদেশের কোন জেলার উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে?
A
গাজীপুর
B
শরীয়তপুর
C
রাজবাড়ি
D
চাঁদপুর
উত্তরের বিবরণ
কর্কটক্রান্তি রেখা:
- সাড়ে ২৩° উত্তর অক্ষরেখা কর্কটক্রান্তি রেখা নামে পরিচিত।
- বাংলাদেশের মাঝ বরাবর পূর্ব-পশ্চিমে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
- কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে এমন জেলাগুলো হচ্ছে চুয়াডাঙা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি।
- এছাড়াও বাংলাদেশের উপর দিয়ে ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করেছে।
- ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় কর্কটক্রান্তি রেখা ও ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা পরস্পরকে ছেদ করেছে।
0
Updated: 1 month ago
কর্নওয়ালিসের সময় বিচার ব্যবস্থাকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২ ভাগে
B
৩ ভাগে
C
৪ ভাগে
D
৫ ভাগে
বিচার ব্যবস্থা কর্নওয়ালিসের সময়ে সংস্কার করা হয় এবং এটি দুইটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়—ফৌজদারি ও দেওয়ানি। ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে এই সংস্কারের ফলে সদর নিজামত আদালত মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। বাংলায় এবং বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চলে মোট ১২টি বিভাগ গঠিত হয় এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য একটি ভ্রাম্যমান কোর্ট স্থাপন করা হয়। এই আদালতগুলিতে প্রত্যেকটিতে দুজন ইংরেজ বিচারক এবং আইন ব্যাখ্যার জন্য কাজি ও মুফতি নিযুক্ত থাকতেন। লর্ড বেটিঙ্ক সর্বপ্রথম বিচার কার্য ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেশীয়দের ওপর ন্যস্ত করেন। তিনি ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় সর্বপ্রথম জুড়ি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যেখানে ভারতীয়দের জুরির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
-
কর্নওয়ালিসের সময় বিচার ব্যবস্থা দুই ভাগে বিভক্ত: ফৌজদারি ও দেওয়ানি।
-
১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে সদর নিজামত আদালত মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত।
-
বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা ১২টি বিভাগে বিভক্ত ও প্রতিটি বিভাগের জন্য ভ্রাম্যমান কোর্ট স্থাপন।
-
আদালতে প্রত্যেকটিতে দুজন ইংরেজ বিচারক এবং কাজি ও মুফতি নিযুক্ত।
-
লর্ড বেটিঙ্ক দেশীয়দের বিচার কার্য ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব প্রদান।
-
১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় জুড়ি ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং ভারতীয়দের জুরির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত।
0
Updated: 1 month ago
কোন জেলায় সন্ন্যাসীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ শুরু করে?
Created: 1 month ago
A
পুরুলিয়া
B
বর্ধমান
C
হুগলী
D
কলকাতা
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বাংলার ইতিহাসে অন্যতম প্রথম দিকের সংগঠিত প্রতিরোধ আন্দোলন। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে এ বিদ্রোহ চলতে থাকে এবং উত্তরবঙ্গসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইংরেজদের জন্য এটি ছিল এক বড় চ্যালেঞ্জ।
-
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ব্যাপ্তিকাল ছিল প্রায় ৪০ বছর (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ)।
-
১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয়।
-
প্রথম বিদ্রোহ সংঘটিত হয় বর্ধমান জেলায়, যেখানে সন্ন্যাসীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
-
১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে মজনু শাহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে ইংরেজবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন।
-
১৭৭৭ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এ বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। এর তীব্রতা ছিল উত্তরবঙ্গে সর্বাধিক।
-
সংঘর্ষে বিদ্রোহীরা অনেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে এবং কোম্পানির বহু কুঠি লুঠ করে।
-
ফকির মজনু শাহর যুদ্ধ কৌশল ছিল গেরিলা পদ্ধতি।
-
১৭৮৭ সালে মজনু শাহ মৃত্যুবরণ করলে, বিদ্রোহের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন মুসা শাহ, সোবান শাহ, চেরাগ আলী শাহ, করিম শাহ, মাদার বক্স প্রমুখ ফকির।
-
অবশেষে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফকির-সন্ন্যাসীরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
The disease rickets, which affects bone development in children, occurs due to deficiency of:
Created: 3 weeks ago
A
Vitamin A
B
Vitamin C
C
Vitamin D
D
Vitamin B6
রিকেটস হলো একটি রোগ যা শিশুদের হাড়ের বৃদ্ধি ও বিকাশকে প্রভাবিত করে। এটি মূলত ঘটে যখন দেহে ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকে। ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। শিশু পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না পেলে হাড় নরম ও দুর্বল হয়ে যায়, ফলে হাড় বাঁকানো বা বিকৃত হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়ের হাড়ের বাঁক, স্তনের হাড়ের বৃদ্ধি সমস্যা, দাঁতের দেরী বিকাশ এবং পেশীতে দুর্বলতা। সঠিক খাদ্য যেমন দুধ, ডিম এবং পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক। তাই রিকেটস প্রতিরোধে ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি সম্পর্কিত তথ্য:
-
ভিটামিন ডি মূলত প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়।
-
সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত করতে সাহায্য করে।
-
প্রধান খাদ্য উৎস: ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন।
-
বাধাঁকপি, যকৃৎ এবং তেলসমৃদ্ধ মাছেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
-
ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে, যা হাড় তৈরির কাজে লাগে।
-
ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়।
-
অত্যধিক ভিটামিন ডি গ্রহণে অধিক ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষিত হয়ে রক্তে এদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে কিডনি, হৃৎপিন্ড, ধমনি ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে।
0
Updated: 3 weeks ago