পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কে?
A
জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা
B
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
C
আবদুল জলিল
D
আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দীর্ঘদিনের সংঘাত ও অস্থিরতা নিরসনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হয়।
-
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জনসংহতি সমিতি)র মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
-
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
-
এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনের পথ সুগম হয় এবং সংঘাত প্রশমনের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়।

0
Updated: 8 hours ago
মারমা জাতিগোষ্ঠী গ্রামকে তাদের ভাষায় কী বলে?
Created: 1 week ago
A
রোয়া
B
পুঞ্জি
C
রোয়াজা
D
কার্বারি
মারমা
-
বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে মারমাদের অবস্থান দ্বিতীয়।
-
অধিকাংশ মারমা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাস করেন। 'মারমা' শব্দটি ‘ম্রাইমা’ থেকে উদ্ভূত।
-
পার্বত্য অঞ্চলে বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত মারমা সমাজের প্রধান বোমাং চিফ বা বোমাং রাজা।
-
প্রত্যেক মৌজায় বিভিন্ন গ্রাম থাকে, এবং গ্রামবাসী গ্রামের প্রধান মনোনীত করে।
-
মারমারা গ্রামকে তাঁদের ভাষায় ‘রোয়া’ এবং গ্রামের প্রধানকে ‘রোয়াজা’ বলে।
-
মারমাদের জীবিকার প্রধান উপায় কৃষি, এবং তাদের চাষাবাদের প্রধান পদ্ধতি জুম।
-
মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং এই ধর্মের অনুষ্ঠানাদি উদযাপন করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ৮ম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্তম্ভগুলো দ্বারা কোন সময়কালকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
১৯৪৭-১৯৭১
B
১৯৫২-১৯৭১
C
১৯৫০-১৯৭১
D
১৯৬২-১৯৭১
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
-
জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কি. মি. দূরে, সাভার থানার নবীনগরে।
-
এটি নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য।
-
স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৫০ ফুট।
-
নির্মাণ কাজ ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে সম্পন্ন হয়।
-
মূল কাঠামোর নকশা তৈরি করেন স্থপতি মইনুল হোসেন।
-
মূল সৌধ গঠিত কংক্রিট নির্মিত ৭ টি ত্রিভূজাকৃতির স্তম্ভ দিয়ে।
-
স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
-
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
-
১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন
-
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন
-
১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন
-
১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যূত্থান
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
-

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের পোস্টাল একাডেমি কোথায় অবস্থিত?
Created: 8 hours ago
A
ঢাকা
B
চট্টগ্রাম
C
রাজশাহী
D
খুলনা
বাংলাদেশের ডাক বিভাগে দক্ষ জনবল তৈরি ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় পোস্টাল একাডেমি। এটি মূলত ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত উন্নয়ন ও মানব সম্পদ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
-
বাংলাদেশের পোস্টাল একাডেমি রাজশাহী শহরে অবস্থিত।
-
এটি জাতীয়ভাবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
-
স্বাধীনতার পরপরই এর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ১৯৭৪ সালে প্রস্তাবটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।
-
একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮২ সালে রাজশাহীতে যাত্রা শুরু করে।
-
পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে এটি পুনর্গঠিত ও বর্তমান রূপে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাডেমি প্রায় ৬০০টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছেন ৬,০০০-এর বেশি প্রশিক্ষণার্থী।
-
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মূলত পোস্টাল ব্যবস্থাপনা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জনসংযোগ ইত্যাদি বিষয়ে কেন্দ্রীভূত।

0
Updated: 8 hours ago