আহসান মঞ্জিলের জন্য পুরনো কুঠিবাড়িটি কার কাছ থেকে কেনা হয়?
A
ইংরেজদের কাছ থেকে
B
ফরাসিদের কাছ থেকে
C
ডাচদের কাছ থেকে
D
পর্তুগিজদের কাছ থেকে
উত্তরের বিবরণ
আহসান মঞ্জিল ঢাকার নবাব পরিবারের ঐতিহাসিক প্রাসাদ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি শুধু একটি স্থাপত্যকীর্তি নয়, বরং ঊনবিংশ শতকের বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
-
আহসান মঞ্জিলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকার নবাব খাজা আবদুল গনি।
-
তিনি ১৮৩০ সালে ফরাসিদের কাছ থেকে পুরনো কুঠিবাড়িটি কিনে নিজ বাসভবনে রূপান্তর করেন।
-
পরবর্তীতে ইউরোপীয় স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানির মাধ্যমে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করান, যার ভিত্তিতে প্রাসাদটি নির্মিত হয়।
-
নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৫৯ সালে এবং শেষ হয় ১৮৭২ সালে।
-
প্রাসাদটির নামকরণ করা হয় খাজা আবদুল গনির পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামে।
-
দীর্ঘ সময় ধরে এটি ছিল ঢাকার নবাব পরিবারের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। এখান থেকেই পূর্ব বাংলার মুসলমানদের নেতৃত্ব প্রদান করা হতো।

0
Updated: 8 hours ago
কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন?
Created: 3 days ago
A
পানিপথের যুদ্ধ
B
হিদাসপিসের যুদ্ধ
C
কলিঙ্গের যুদ্ধ
D
তরাইনের যুদ্ধ
কলিঙ্গ যুদ্ধের বিশাল রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্রাট অশোককে গভীরভাবে ব্যথিত করে, যার প্রভাব তাকে যুদ্ধনীতি পরিত্যাগ করতে এবং বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
সম্রাট অশোক:
-
তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পৌত্র এবং বিম্বিসারের পুত্র।
-
২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
সিংহাসনে আরোহণের চার বছর পর, ২৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
-
পূর্বসুরীদের সাম্রাজ্য সম্প্রসারণনীতি অনুসরণ করেন।
-
পাটলীপুত্র থেকে বিশাল সাম্রাজ্য শাসন করতেন।
-
রাজত্বের ১৩তম বছরে কলিঙ্গ যুদ্ধে জয় লাভ করেন।
-
পরবর্তী সময়ে মৌর্য সম্রাটদের চিরাচরিত দ্বিগ্বিজয় নীতি পরিত্যাগ করে ঘোষণা করেন যে তাঁর পুত্র ও প্রপৌত্ররা ভবিষ্যতে যুদ্ধ করবে না।
-
বহু জনহিতকর কাজ করেন।
-
২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেন।
-
প্রায় ৪০ বছর শাসন করার পর ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
কলিঙ্গ যুদ্ধের রক্তক্ষয়ী অভিজ্ঞতা অশোকের রাজনৈতিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বৃহৎ পরিবর্তন আনে।
-
তিনি একজন নীতিবান শাসকে পরিণত হন।
-
সেই সময় থেকে জীবনব্যাপী বিশ্বশান্তি ও ন্যায়নিষ্ঠ শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
-
জীবনের অবশিষ্ট সময়ে অহিংসা ও ধ্যানে মনোনিবেশ করেন।
-
সৌহার্দ্য, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে অপরের প্রীতি অর্জনকেই তিনি প্রকৃত বিজয় হিসেবে গ্রহণ করেন।
-
অশোকের প্রচারিত ধর্মের মূল বিষয় ছিল গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা, জীবদয়া, সত্যবাদিতা ইত্যাদি।
সূত্র:

0
Updated: 3 days ago
সরকারি বিল কারা উত্থাপন করে?
Created: 12 hours ago
A
সাধারণ সংসদ সদস্য
B
বিরোধী দলের নেতা
C
স্পিকার
D
মন্ত্রীরা
বিল (Bill) সংক্রান্ত তথ্য:
-
সংজ্ঞা:
-
আইনের প্রাথমিক প্রস্তাবকে বিল বলা হয়।
-
আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে যে কোনো প্রস্তাব বিল আকারে উত্থাপিত হয়।
-
-
বিলের প্রকার:
-
সরকারি বিল
-
বেসরকারি বিল
-
-
সরকারি বিল:
-
সরকারি বিল মন্ত্রীদের দ্বারা উত্থাপিত হয়।
-
সরকারি বিল উত্থাপনের জন্য ৭ দিনের সময় প্রয়োজন।
-
-
বেসরকারি বিল:
-
সাধারণ সংসদ সদস্যরা উত্থাপিত বিলকে বেসরকারি বিল বলা হয়।
-
বেসরকারি বিল উত্থাপনের জন্য ১৫ দিনের নোটিশ প্রয়োজন।
-

0
Updated: 12 hours ago
জাতিসংঘ সনদের কত নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তিরক্ষী বাহিনী বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে?
Created: 2 days ago
A
৩৯ নং
B
৪৪ নং
C
৪৬ নং
D
৪৯ নং
শান্তিরক্ষী বাহিনী (Peacekeeping Forces) জাতিসংঘের মূল শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমের অংশ।
-
জাতিসংঘ সনদের রচয়িতা: আর্চিবাল্ড ম্যাকলিশ (Archibald Macleish)
-
সনদ: অধ্যায়-১৯, মোট ১১১টি অনুচ্ছেদ
প্রধান কার্যক্রম:
-
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী জাতিসংঘ মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে শান্তিরক্ষী মিশন পরিচালিত হয়
-
সনদের ৪৩ ও ৪৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করে:
-
বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন
-
যুদ্ধবিরতি চুক্তি তদারকি
-
কার্যকর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা
-
-
প্রথম শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু: ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে, জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে
সম্পর্কিত ধারাসমূহ:
-
ধারা ৩৯: শান্তির প্রতি হুমকি, শান্তিভঙ্গ বা আক্রমণাত্মক কার্য নির্ধারণ নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব
-
ধারা ৪৬: সামরিক বাহিনী নিয়োগ ও পরিকল্পনা নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বে, সামরিক স্টাফ কমিটির সহায়তায় সম্পন্ন হবে
-
ধারা ৪৯: শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সদস্য রাষ্ট্রদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান বাধ্যতামূলক

0
Updated: 2 days ago