জাতীয় সংসদের ১নং আসন কোনটি?
A
পঞ্চগড়-১
B
বান্দরবান-১
C
রাঙামাটি-১
D
খাগড়াছড়ি-১
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংসদীয় আসন সম্পর্কিত তথ্য:
-
মোট আসন:
-
জাতীয় সংসদে মোট ৩৫০টি আসন রয়েছে।
-
এর মধ্যে ৩০০টি আসন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।
-
৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
-
-
নির্দিষ্ট আসন নম্বর:
-
১ নং আসন: পঞ্চগড়-১
-
২৯৭ নং আসন: কক্সবাজার
-
২৯৮ নং আসন: খাগড়াছড়ি
-
২৯৯ নং আসন: রাঙামাটি
-
৩০০ নং আসন: বান্দরবান
-
-
নোটযোগ্য তথ্য:
-
বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় মাত্র একটি করে সংসদীয় আসন রয়েছে।
-
0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
Created: 1 month ago
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কত তারিখে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি
B
১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি
C
১৯৭৪ সালের ২২ এপ্রিল
D
১৯৭৪ সালের ২৪ এপ্রিল
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মোট ১৫০টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভুটান এবং ভারত সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে, উভয় দেশই ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বীকৃতি দেয়। এরপর নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও দ্রুত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হয়।
বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতি:
-
পাকিস্তান ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
সর্বশেষ দেশ হিসেবে চীন ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর স্বীকৃতি:
-
১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব জার্মানি, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
স্বাধীন হবার মাত্র চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হয় এবং শতাধিক দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান রচনাকালীন এর ভাষাগত ত্রুটি দূর করার জন্য গঠিত কমিটির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
এম মনসুর আলী
B
আনিসুজ্জামান
C
ড. মুহম্মদ আবদুল হাই
D
উপরের সকলেই
খসড়া সংবিধান প্রস্তুতকরণ (Draft Constitution Preparation)
-
প্রক্রিয়া: খসড়া সংবিধান তৈরি একটি জটিল ও বহুস্তরীয় প্রক্রিয়া ছিল। বিভিন্ন সুপারিশ ও ব্যাপক আলোচনার পর ১৯৭২ সালের ১০ জুন সংবিধান প্রণয়ন কমিটি প্রাথমিক খসড়া অনুমোদন করে।
-
প্রস্তুতির আগে: কমিটির সভাপতি ও আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারত ও ইংল্যান্ড সফর করেন।
-
ভাষাগত ও শৈল্পিক যাচাই: সংবিধানের ভাষাগত গঠন, ব্যাকরণগত শুদ্ধতা ও শৈল্পিক সৌন্দর্য নিশ্চিত করতে তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়।
-
আহ্বায়ক: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান)
-
অন্য সদস্যরা:
-
ড. মযহারুল ইসলাম (বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক)
-
সৈয়দ আলী আহসান (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য)
-
-
0
Updated: 1 month ago