বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১নং অনুচ্ছেদ কোন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত?
A
বাক-স্বাধীনতা
B
ধর্মীয় স্বাধীনতা
C
চলাফেরার স্বাধীনতা
D
সমাবেশের স্বাধীনতা
উত্তরের বিবরণ
ধর্মীয় স্বাধীনতা – বাংলাদেশ সংবিধান (অনুচ্ছেদ ৪১)
-
ধারার সীমাবদ্ধতা: আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার প্রতি সম্মান রেখে।
মূল বিষয়বস্তু:
-
ধর্ম অবলম্বন ও প্রচার:
-
প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে।
-
-
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:
-
প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে।
-
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ:
-
কোনো ব্যক্তি যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত না হয়, তবে তাকে ঐ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা যাবে না।
-
জরুরি অবস্থার সময়ও এই অধিকার রদ করা যায় না।
-
সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৯: চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা
-
অনুচ্ছেদ ৩৭: সমাবেশের স্বাধীনতা
-
অনুচ্ছেদ ৩৬: চলাফেরার স্বাধীনতা
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণ দলিলে কে স্বাক্ষর করে?
Created: 1 month ago
A
জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
B
মেজর জেনারেল রাও ফরমান
C
কর্নেল ওসমানী
D
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজী
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ:
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের জয়ী ও পরাজিত পক্ষের মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
-
যৌথবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, যিনি জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন-
Created: 1 month ago
A
নূরুল আমিন
B
আ স ম আব্দুর রব
C
সিরাজ চৌধুরী
D
আ স ম সোহরাওয়ার্দী
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রথমবার উত্তোলিত হয় স্বাধীনতার আগেই, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গণমানুষের প্রত্যাখ্যানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন হয় ২রা মার্চ, ১৯৭১।
-
স্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পশ্চিম দিকের গেটে।
-
উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা আ. স. ম. আবদুর রব।
-
এই উত্তোলন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বেই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে প্রত্যাখ্যানের অংশ ছিল।
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পটুয়া কামরুল হাসানকে দায়িত্ব দেন জাতীয় পতাকার নকশা চূড়ান্ত করার জন্য।
-
পটুয়া কামরুল হাসানের হাতেই বর্তমান জাতীয় পতাকা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে।
0
Updated: 1 month ago
প্রথম স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জিআই পণ্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইলিশ
B
মসলিন
C
জামদানি শাড়ি
D
বাগদা চিংড়ি
জিআই (Geographical Indication) পণ্য
-
সংজ্ঞা:
-
জিআই বা ভৌগলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি, যা কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও ঐ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির প্রভাবিত পণ্যকে প্রদান করা হয়।
-
অর্থাৎ, সেই পণ্য শুধুমাত্র সেই নির্দিষ্ট এলাকা থেকে উৎপাদনযোগ্য।
-
-
স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান:
-
WIPO (World Intellectual Property Organization) জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
-
আইনি ভিত্তি:
-
বাংলাদেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন পাস হয় ২০১৩ সালে।
-
-
দেশের প্রথম স্বীকৃত জিআই পণ্য:
-
জামদানি শাড়ি
-
২০১৬ সালে জামদানি দেশের প্রথম জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
-
উৎস:
i) পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট
ii) প্রথম আলো
0
Updated: 1 month ago