বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে?
A
১৩২তম
B
১৩৪তম
C
১৩৬তম
D
১৩৯তম
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
জাতিসংঘে যোগদান: ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য দেশ হিসেবে যুক্ত হয়।
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে সদস্যতা:
-
দুই মেয়াদে (১৯৭৬ ও ১৯৮১), প্রতিটি চার বছরের জন্য।
-
-
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্ব:
-
১৯৮৬-৮৭ সালে বাংলাদেশের হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ৪১তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি হন।
-
-
নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য:
-
দুইবার নির্বাচিত: ১৯৭৯-১৯৮০ এবং ২০০০-২০০১।
-

0
Updated: 14 hours ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব কে ছিলেন?
Created: 2 days ago
A
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
B
উ থান্ট
C
ড. বুট্রোস বুট্রোস ঘালি
D
ট্রিগভেলী
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
সম্পর্কের সূচনা: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে।
-
মহাসচিব: বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ:
-
১৯৭১ সালের এপ্রিল:
-
ভারত সরকার জাতিসংঘের কাছে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করে।
-
তৎকালীন মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম উদ্যোগী হন।
-
উ থান্ত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
-
১৯৭২ সালের আগস্ট:
-
৮ আগস্ট: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ আবেদনের জন্য আবেদন জমা দেয়।
-
১১ আগস্ট: নিরাপত্তা পরিষদে বিবেচনার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত।
-
২৩ আগস্ট: সদস্যপদ প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হয় (যুক্তরাজ্য, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুগোস্লাভিয়ার সমর্থন)।
-
২৫ আগস্ট: চীনের ভেটোর কারণে তখন বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়নি।
-
-
১৯৭৪ সালের জুন:
-
পুনরায় আবেদন করা হয়।
-
১০ জুন: নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়; চীন ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
-
১৭ সেপ্টেম্বর: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশের সদস্যপদ অনুমোদন করে।
-
ফলাফল: বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
মহাসচিব সংক্রান্ত তথ্য:
-
উ থান্ত (১৯৬১-১৯৭১): মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দায়িত্বে।
-
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম (১৯৭২-১৯৮১): বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় দায়িত্বে।

0
Updated: 2 days ago
মাতৃপ্রধান পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন কোন জাতিসত্তায় রয়েছে?
Created: 15 hours ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
বম
D
গারো
গারো একটি আদিবাসী সম্প্রদায়, যারা ভারত ও বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এদের বড় বৈশিষ্ট্য।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গারোরা মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ভাষাগতভাবে তারা বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
তাদের সমাজে প্রচলিত পরিবার কাঠামো হলো মাতৃতান্ত্রিক, অর্থাৎ বংশ ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নারীর দিক থেকে নির্ধারিত হয়।
-
গারোদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম ওয়ানগালা, যা মূলত ধান কাটার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব।
-
এই উৎসব সাধারণত আশ্বিন মাসে পালিত হয় এবং সামর্থ্যানুযায়ী কোনো গ্রামে তিন দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
-
তাদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক, যদিও বর্তমানে অনেক গারো খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করে।

0
Updated: 15 hours ago
ড. মুহাম্মদ ইউনূস র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন কত সালে?
Created: 8 hours ago
A
১৯৮৪ সালে
B
১৯৯৪ সালে
C
১৯৮৭ সালে
D
১৯৮৯ সালে
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, যিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জন করেছেন। তিনি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ।
-
তিনি ক্ষুদ্রঋণ (Microcredit) ব্যবস্থার জনক হিসেবে সমাদৃত।
-
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
-
২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
-
তিনি প্রথম বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
-
এছাড়া, ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
-
১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তিনি দায়িত্বে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
-
২০২৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় শতাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
-
১৯৮৪ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন।

0
Updated: 8 hours ago