"প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা" – এটি সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে?
A
অনুচ্ছেদ ২
B
অনুচ্ছেদ ৩
C
অনুচ্ছেদ ৭ক
D
অনুচ্ছেদ ৭খ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান: প্রথম ভাগ – রাষ্ট্রভাষা
-
অনুচ্ছেদ ৩:
-
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা হলো বাংলা।
-
প্রথম ভাগের অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ১: প্রজাতন্ত্র।
-
অনুচ্ছেদ ২: প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা।
-
অনুচ্ছেদ ২ক: রাষ্ট্রধর্ম।
-
অনুচ্ছেদ ৩: রাষ্ট্রভাষা।
-
অনুচ্ছেদ ৪: জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক।
-
অনুচ্ছেদ ৫: রাজধানী।
-
অনুচ্ছেদ ৬: নাগরিকত্ব।
-
অনুচ্ছেদ ৭: সংবিধানের প্রাধান্য।
-
অনুচ্ছেদ ৭ক: সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ ইত্যাদি অপরাধ।
-
অনুচ্ছেদ ৭খ: সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য।

0
Updated: 14 hours ago
চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স কত করা হয়?
Created: 15 hours ago
A
৬৫ বছর
B
৬৬ বছর
C
৬৭ বছর
D
৬৮ বছর
চতুর্দশ সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে, যা বিচার, সংসদীয় নারী প্রতিনিধিত্ব এবং সরকারি প্রথার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
চতুর্দশ সংশোধনী আইন ২০০৪ সালের ১৬ মে সংসদে পাস হয়।
-
সংবিধানে বিভিন্ন বিধান সংযোজন করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো:
-
সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৩০ থেকে ৪৫ এ বৃদ্ধি করা হয়, যা পরবর্তী দশ বছর বলবৎ থাকবে।
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বছর বৃদ্ধি করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি তাদের স্ব স্ব কার্যলয়সহ সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়।
-

0
Updated: 15 hours ago
আলীগড় আন্দোলনের মূল প্রবক্তা কে ছিলেন?
Created: 15 hours ago
A
শাহ ওয়ালিউল্লাহ
B
মাওলানা শিবলী
C
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
D
খাজা সলিমুল্লাহ
আলীগড় আন্দোলন মূলত মুসলমান সমাজের শিক্ষাগত ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য শুরু হয়েছিল। এটি ১৯শ শতকের দ্বিতীয় অর্ধভাগে মুসলিম সমাজকে নতুন দিশা দেখানোর প্রয়াস হিসেবে পরিচিত।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
আলীগড় আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতীয় মুসলমানরা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটে পড়ে।
-
এই প্রেক্ষাপটে সৈয়দ আহমদ খান মুসলমানদের উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার এবং ইংরেজদের সাথে সহযোগিতা গ্রহণের পথ বেছে নেন।
-
তিনি মুসলমানদের ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করেন এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি দূর করার চেষ্টা করেন।
-
আলীগড় মুসলিম কলেজ (বর্তমানে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আলীগড় আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
-
তার লেখালেখি, বক্তৃতা এবং শিক্ষামূলক প্রচেষ্টা মুসলমান সমাজে নতুন যুগের সূচনা করে।
-
আন্দোলনটি মুসলমান সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয় এবং তাদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

0
Updated: 15 hours ago
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?
Created: 3 days ago
A
লর্ড কর্নওয়ালিস
B
ওয়ারেন হেস্টিংস
C
রবার্ট ক্লাইভ
D
লর্ড কার্জন
১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যেখানে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব নবাবের হাতে রাখা হয়।
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা:
-
১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলার গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
-
এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে, আর নিয়ামত বা প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের হাতে অর্পিত ছিল।
-
দ্বৈত শাসনের কারণে দায়িত্বহীনতা ও অরাজকতা বাংলার জনজীবনে নেমে আসে।
-
অবাধ লুন্ঠন ও যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায় গ্রাম্যজীবন ধ্বংস করে।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা দেখা দেয়।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 3 days ago