কোন বাঙালি বিজ্ঞানী কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole) নিয়ে গবেষণা করেছেন?
A
সত্যেন্দ্রনাথ বসু
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
কুদরত-ই-খুদা
D
ড. জামাল নজরুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম
-
সম্পর্কে: বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।
-
গবেষণার ক্ষেত্র: আপেক্ষিকতা, বিশ্বতত্ত্ব (কসমোলজি), কোয়ান্টাম তত্ত্ব।
-
গুরুত্বপূর্ণ কাজ:
-
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কিত জটিল বিষয় নিয়ে মৌলিক গবেষণা।
-
সৌরজগতের গ্রহগুলোর সরলরেখায় অবস্থানের প্রভাব পর্যালোচনা।
-
-
প্রকাশিত গ্রন্থ:
-
The Ultimate Fate of the Universe (1983, Cambridge University Press)
-
বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole)
-
-
অর্জন: ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক
-
অবদান: আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
-
বিশেষ: কৃষ্ণগহ্বর ও ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
0
Updated: 1 month ago
ভারত ছাড় আন্দোলন কবে শুরু হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৩৯ সালে
B
১৯৪০ সালে
C
১৯৪১ সালে
D
১৯৪২ সালে
ভারত ছাড় আন্দোলন মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয় এবং ১৯৪২ সালে এটি শুরু হয়। এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপক আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ইংরেজ সরকার কোনোভাবেই ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না।
-
সরকার এই আন্দোলন দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রাখে।
-
আন্দোলনের শুরুতে মধ্যরাতে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যেমন গান্ধীজি, আবুল কালাম আজাদ, জওহরলাল নেহরু, গ্রেফতার হন।
-
কংগ্রেসকে বেআইনি ঘোষণা করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সব নেতা কারাগারে বন্দি হন।
-
নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের কারণে অহিংস আন্দোলন ভয়াবহ সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়।
-
১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট, নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির (বোম্বাই) অধিবেশনে বিখ্যাত ভারত ছাড় আন্দোলনের প্রস্তাব পাস হয়।
-
পরপরই যতদূর সম্ভব ব্যাপকভাবে অহিংস পথে গান্ধীর নেতৃত্বে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্ভব?
Created: 1 month ago
A
৫১নং অনুচ্ছেদ
B
৫৩নং অনুচ্ছেদ
C
৫২নং অনুচ্ছেদ
D
৫৪নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্পর্কিত বিধান অনুচ্ছেদ ৫২(১)-এ উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন বা গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হন, তবে সংসদ তাকে অভিশংসন করতে পারে। এ জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
প্রধান বিষয়গুলো হলো:
-
অভিশংসনের অভিযোগ আনার জন্য সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের স্বাক্ষরসহ প্রস্তাবের নোটিশ স্পিকারের নিকট জমা দিতে হবে।
-
নোটিশ জমা দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বা ৩০ দিনের পরে প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য উত্থাপন করা যাবে না।
-
যদি সংসদ অধিবেশনরত না থাকে, তবে স্পিকার অবিলম্বে সংসদ আহ্বান করবেন।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো হলো:
-
অনুচ্ছেদ ৫১: রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
-
অনুচ্ছেদ ৫৩: অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
-
অনুচ্ছেদ ৫৪: রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি বা সাময়িক অক্ষমতার ক্ষেত্রে স্পিকারের দায়িত্বগ্রহণ
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সরকার কত সালে ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন’ পাস করে?
Created: 1 month ago
A
২০১০ সালে
B
২০১১ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৩ সালে
পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, প্রতিটি সন্তানকে তার মা-বাবার ভরণপোষণ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
-
বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর এই আইন পাস করে।
-
আইন অনুযায়ী, যদি কোনো মা-বাবার একাধিক সন্তান থাকে, তাহলে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভরণপোষণ নিশ্চিত করবেন।
-
এ দায়িত্ব পালন না করলে সংশ্লিষ্ট সন্তানরা শাস্তির আওতায় আসবেন।
৫ ধারার (১) অনুযায়ী শাস্তি:
-
প্রবীণ ব্যক্তি তার সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে, সন্তানদের এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
-
যদি সন্তানের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে বা নিকটাত্মীয় বৃদ্ধ মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করে, তবে তারা একই শাস্তির অধীন হবেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago