'দ্বিজাতি তত্ত্বের' প্রবক্তা কে?
A
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
এ.কে. ফজলুল হক
D
নওয়াব সলিমুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory)
-
সংজ্ঞা: জাতিতত্ত্বের বিশ্লেষণে একটি জনগোষ্ঠীকে তখনই জাতি বলা যায়, যার ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মনন, কৃষ্টি, ধর্ম, এমনকি অর্থনীতি একটি একক সত্তায় পরিণতি লাভ করে।
-
জিন্নাহর ধারণা: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এ ভাবনাকেই বলা হয় দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
ঘোষণা:
-
জিন্নাহ ১৯৩৯ সালে দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন।
-
পরবর্তী বছর, ১৯৪০ সালে লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে এরই প্রতিধ্বনি প্রকাশ পায়।
-
২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
-
লাহোর প্রস্তাব: বাংলার নেতা ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী এ.কে. ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বলা হয় যে, কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ভারতে কার্যকর বা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না যদি এটি একটি নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হয়।

0
Updated: 15 hours ago
মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?
Created: 1 week ago
A
মন্ত্রী
B
সচিব
C
যুগ্ম সচিব
D
অতিরিক্ত সচিব
বাংলাদেশের সচিবালয়:
- বাংলাদেশের প্রশাসনের দুটি স্তর রয়েছে। যেমন: কেন্দ্রীয় প্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসন।
- সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয় বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত যা শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ।
- সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়।
- সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলে।
- প্রধানমন্ত্রীর পছন্দানুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
- মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব।
- মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কাজের ভার সচিবের ওপর ন্যস্ত থাকে।
- মন্ত্রণালয় পরিচালনার ব্যাপারে মন্ত্রী সচিবের নিকট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করেন।

0
Updated: 1 week ago
বর্তমানে বিসিআইসি’র অধীনে চলমান শিল্প কারখানা রয়েছে -
Created: 1 week ago
A
১০টি
B
১১টি
C
১২টি
D
১৩টি
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)
-
বিসিআইসি’র অধীনে বর্তমানে চলমান শিল্প কারখানা: ১১টি।
চলমান কারখানার ধরন ও সংখ্যা:
-
ইউরিয়া সার কারখানা: ৫টি
-
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরী লিঃ
-
যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিঃ
-
আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানী লিঃ
-
শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিঃ
-
ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পাবলিক লিঃ
-
-
ডিএপি সার কারখানা: ১টি (ডিএপি ফার্টিলাইজার কোং লিঃ)
-
টিএসপি সার কারখানা: ১টি (টিএসপি কমপ্লেক্স লিঃ)
-
কাগজ কারখানা: ১টি (কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিঃ)
-
সিমেন্ট কারখানা: ১টি (ছাতক সিমেন্ট কোম্পানী লিঃ)
-
গ্লাসশীট কারখানা: ১টি (উসমানিয়া গ্লাসশীট ফ্যাক্টরী লিঃ)
-
স্যানিটারীওয়্যার ইস্যুলেটর কারখানা: ১টি (বাংলাদেশ ইস্যুলেটর এন্ড স্যানিটারীওয়্যার ফ্যাক্টরী লিঃ)
উৎস: BCIC ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
মাতৃপ্রধান পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন কোন জাতিসত্তায় রয়েছে?
Created: 15 hours ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
বম
D
গারো
গারো একটি আদিবাসী সম্প্রদায়, যারা ভারত ও বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এদের বড় বৈশিষ্ট্য।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গারোরা মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ভাষাগতভাবে তারা বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
তাদের সমাজে প্রচলিত পরিবার কাঠামো হলো মাতৃতান্ত্রিক, অর্থাৎ বংশ ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নারীর দিক থেকে নির্ধারিত হয়।
-
গারোদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম ওয়ানগালা, যা মূলত ধান কাটার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব।
-
এই উৎসব সাধারণত আশ্বিন মাসে পালিত হয় এবং সামর্থ্যানুযায়ী কোনো গ্রামে তিন দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
-
তাদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক, যদিও বর্তমানে অনেক গারো খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করে।

0
Updated: 15 hours ago