সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়?
A
পঞ্চম সংশোধনী
B
অষ্টম সংশোধনী
C
সপ্তম সংশোধনী
D
ষষ্ঠ সংশোধনী
উত্তরের বিবরণ
অষ্টম সংশোধনী – ১৯৮৮
-
পাসের তারিখ: ৭ জুন ১৯৮৮
-
উদ্দেশ্য: সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধন করা
মূল পরিবর্তনসমূহ:
-
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা: সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-এ পরিবর্তন আনা হয়।
-
বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ: ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত বিদেশী খেতাব গ্রহণ নিষিদ্ধ: সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩০ সংশোধন করা হয়।
-
অন্যান্য সংশোধন: অনুচ্ছেদ ৩, ৫ ও ১০০-এ সংশোধনী আনা হয়।
-
পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্ট অনুচ্ছেদ ১০০-এর সংশোধনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে, কারণ এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল।
-
0
Updated: 1 month ago
ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডকে একত্রিত করে কোন ব্যাংক গঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
যমুনা ব্যাংক
B
পূবালী ব্যাংক
C
জনতা ব্যাংক
D
রূপালী ব্যাংক
জনতা ব্যাংক পিএলসি
-
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভাঙা আর্থিক ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-
এই প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য পূর্বে পরিচালিত বেশ কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
-
১৯৭২ সালে ব্যাংক জাতীয়করণ আদেশ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৬) এর অধীনে পূর্ববর্তী ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডকে একত্রিত করে জনতা ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
⇒ ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর জনতা ব্যাংক জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রারের সাথে নিবন্ধিত হয়ে জনতা ব্যাংক লিমিটেড নামে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।
-
কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ২০২০ সংশোধনীর আওতায় ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে জনতা ব্যাংক পিএলসি রাখা হয়।
-
বর্তমান চেয়ারম্যান: জনাব এম. ফজলুর রহমান।
উৎস: জনতা ব্যাংক পিএলসি ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নেতা কে?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রপতি
B
প্রধানমন্ত্রী
C
স্পিকার
D
মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা
-
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান।
-
রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিকাংশ সদস্যের আস্থাভাজন সাংসদকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী পুরো শাসনব্যবস্থায় নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাঁদের দপ্তর বণ্টন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন ঘটে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
প্রধানমন্ত্রী সংসদের নেতা ও মন্ত্রিসভার প্রধান।
-
তিনি সংসদের সাফল্যজনক ও সুষ্ঠু পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা পালন করেন।
-
বিরোধী দলের আস্থা অর্জন ও সহযোগিতা পেতে তিনি নেতৃত্ব দেন।
-
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সংসদ আহ্বান, স্থগিত বা ভেঙে দিতে পারেন।
-
প্রধানমন্ত্রী জাতির মুখপাত্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
0
Updated: 1 month ago
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?
Created: 1 month ago
A
লর্ড কর্নওয়ালিস
B
ওয়ারেন হেস্টিংস
C
রবার্ট ক্লাইভ
D
লর্ড কার্জন
১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যেখানে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব নবাবের হাতে রাখা হয়।
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা:
-
১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলার গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
-
এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে, আর নিয়ামত বা প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের হাতে অর্পিত ছিল।
-
দ্বৈত শাসনের কারণে দায়িত্বহীনতা ও অরাজকতা বাংলার জনজীবনে নেমে আসে।
-
অবাধ লুন্ঠন ও যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায় গ্রাম্যজীবন ধ্বংস করে।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা দেখা দেয়।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago