সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য কত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়?
A
৩৫ জন
B
৩৬ জন
C
৩৪ জন
D
৩৮ জন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান (১৯৭২) প্রণয়ন সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
প্রকল্প আরম্ভ: ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল, গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংবিধান প্রণয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
-
প্রণয়ন কমিটি: ১১ এপ্রিল, ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
-
প্রথম বৈঠক: কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল।
-
খসড়া উত্থাপন: দীর্ঘ আলোচনার পর ১২ অক্টোবর ১৯৭২ সালে সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে উত্থাপন করা হয়।
-
গৃহীত: ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সালে গণপরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান গৃহীত হয়।
-
কার্যকর: ঐতিহাসিকভাবে সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস)।
-
বিরোধী দলের অংশগ্রহণ: প্রণয়ন কমিটির একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেননি।

0
Updated: 15 hours ago
জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান কত সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে?
Created: 2 days ago
A
১৯৬১ সালে
B
১৯৭৭ সালে
C
১৯৯৭ সালে
D
২০০১ সালে
কফি আনান ছিলেন জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব।
-
জাতীয়তা: ঘানা
-
অফিস: আফ্রিকা মহাদেশ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত দ্বিতীয় মহাসচিব
-
নোবেল শান্তি পুরস্কার: ২০০১ সালে লাভ
-
বিশেষ তথ্য: জাতিসংঘের দুইজন মহাসচিবই নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত; তারা হলেন দ্যাগ হ্যামারশোল্ড এবং কফি আনান

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর তফসিলে ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানবলীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
Created: 15 hours ago
A
চতুর্থ
B
ষষ্ঠ
C
তৃতীয়
D
সপ্তম
বাংলাদেশের সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে রাষ্ট্রের কাঠামো, নাগরিক অধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা নির্ধারণ করে। এতে বিভিন্ন বিধান ও তফসিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ইতিহাস ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যুক্ত।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংবিধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, যা ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ১১টি ভাগ বা অধ্যায় রয়েছে।
-
সংবিধানে মোট ৭টি তফসিল সংযোজন করা হয়েছে, যা নিম্নরূপ:
১. প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন
২. দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
৩. তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণা
৪. চতুর্থ তফসিল: ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানবলী
৫. পঞ্চম তফসিল: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ
৬. ষষ্ঠ তফসিল: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা
৭. সপ্তম তফসিল: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

0
Updated: 15 hours ago
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য কী?
Created: 15 hours ago
A
জনসেবা
B
সরকার গঠন
C
আন্দোলন করা
D
সামাজিক সেবা প্রদান
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জন ও সরকার গঠন করা, যাতে নিজেদের নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যায়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই প্রক্রিয়া দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য।
-
আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দলগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে এবং নিজেদের মতাদর্শ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
-
ক্ষমতায় থাকা দল নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে।
-
বিরোধী দলগুলো শাসক দলের ব্যর্থতা তুলে ধরার মাধ্যমে জনমত গঠন করে এবং নিজেদের আদর্শের ভিত্তিতে ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চালায়।
-
এভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কার্যকর হয়।

0
Updated: 15 hours ago