‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটির ভাস্কর -
A
শামীম শিকদার
B
আবদুর রাজ্জাক
C
মৃণাল হক
D
হামিদুজ্জামান খান
উত্তরের বিবরণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যের নির্মাতা ছিলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বেশিরভাগ ভাস্কর্যের স্রষ্টা।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করেন; এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ভাস্কর্য।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য: ‘জাগ্রত বাংলা’ (আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ‘বিজয় কেতন’ (ঢাকা সেনানিবাস), ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’ (উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ (আগারগাঁও, সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণ), ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ (মাদারীপুর)।
-
জন্ম: ১৬ মার্চ, ১৯৪৬, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার সহশ্রাম গ্রাম।
-
২০০৬ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান।
-
মৃত্যু: ২০ জুলাই, ২০২৫, ৭৯ বছর বয়সে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে।

0
Updated: 15 hours ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
Created: 15 hours ago
A
রাজনৈতিক দল গঠন
B
সরাসরি ক্ষমতা দখল
C
জনমত গঠন
D
সরকারি নীতি প্রভাবিত করা
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি সংগঠিত গোষ্ঠী, যা সরাসরি সরকারি ক্ষমতা দখল না করেও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করে। এরা সাধারণত বিশেষ স্বার্থ রক্ষা ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধভাবে কার্যকর হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করা।
-
তারা সরকারি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে না, বরং নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করে।
-
সাধারণত এই গোষ্ঠীগুলো নির্দিষ্ট সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা পেশাগত স্বার্থকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়।
-
তারা সংঘবদ্ধভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে।
-
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যালান বল, এইচ জিগলার ও অ্যালমন্ড-পাওয়েল এই গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় একমত; এরা সংগঠিত এবং লক্ষ্য-সচেতন।
-
তাই বলা যায়, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হলো নীতিনির্ধারক মহলে চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করা।

0
Updated: 15 hours ago
কোন বাঙালি বিজ্ঞানী কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole) নিয়ে গবেষণা করেছেন?
Created: 15 hours ago
A
সত্যেন্দ্রনাথ বসু
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
কুদরত-ই-খুদা
D
ড. জামাল নজরুল ইসলাম
বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম
-
সম্পর্কে: বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।
-
গবেষণার ক্ষেত্র: আপেক্ষিকতা, বিশ্বতত্ত্ব (কসমোলজি), কোয়ান্টাম তত্ত্ব।
-
গুরুত্বপূর্ণ কাজ:
-
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কিত জটিল বিষয় নিয়ে মৌলিক গবেষণা।
-
সৌরজগতের গ্রহগুলোর সরলরেখায় অবস্থানের প্রভাব পর্যালোচনা।
-
-
প্রকাশিত গ্রন্থ:
-
The Ultimate Fate of the Universe (1983, Cambridge University Press)
-
বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole)
-
-
অর্জন: ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক
-
অবদান: আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
-
বিশেষ: কৃষ্ণগহ্বর ও ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

0
Updated: 15 hours ago
রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ (Fourth Estate) কাকে বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
-
সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যম সরকারের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রহরীর ভূমিকা পালন করে। এই কারণে আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের পর এটিকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যম:
-
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়।
-
ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ান এডমন্ড বার্ক (Edmund Burke) প্রথম সংবাদপত্রকে "ফোর্থ এস্টেট" বা চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
-
তিনি ১৭৮৭ সালে হাউস অফ কমন্সে বিতর্কের সময় এই শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
গণমাধ্যম যখন স্বাধীন থাকে, তখন এটি প্রকৃতপক্ষে জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারে এবং সত্য প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের ওপর নজরদারি রাখতে সক্ষম হয়।
-
গণমাধ্যমকে যদি কোনোভাবে দমন করা হয়, তখন সমাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হ্রাস পায়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।
সূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

0
Updated: 1 week ago