বাংলাদেশের সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিধান কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে?
A
১০৩নং অনুচ্ছেদ
B
১১৭নং অনুচ্ছেদ
C
১০৮নং অনুচ্ছেদ
D
১১০নং অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা সংসদের নিকট সংরক্ষিত। এই ট্রাইব্যুনালগুলো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারী ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে এখতিয়ার প্রয়োগের জন্য কার্যকর।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের উদ্দেশ্য:
-
নবম ভাগে বর্ণিত বিষয়াদি এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্মশর্ত ও দণ্ড সম্পর্কিত বিষয়।
-
যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা এবং সম্পত্তির অর্জন ও বণ্টন।
-
-
সংসদের ক্ষমতা: আইনের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা।
অন্য সংবিধানিক প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
১০৩নং অনুচ্ছেদ: আপিল বিভাগের এখতিয়ার সংজ্ঞা।
-
১০৮নং অনুচ্ছেদ: সুপ্রিম কোর্টকে "কোর্ট অফ রেকর্ড" হিসেবে সংজ্ঞায়িত।
-
১১০নং অনুচ্ছেদ: অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্টে মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত বিধান।
0
Updated: 1 month ago
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কে?
Created: 1 month ago
A
জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা
B
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
C
আবদুল জলিল
D
আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দীর্ঘদিনের সংঘাত ও অস্থিরতা নিরসনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হয়।
-
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জনসংহতি সমিতি)র মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
-
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
-
এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনের পথ সুগম হয় এবং সংঘাত প্রশমনের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়।
0
Updated: 1 month ago
ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে কত দফা দাবি উত্থাপন করে?
Created: 1 month ago
A
৮ দফা
B
২১ দফা
C
১২ দফা
D
১১ দফা
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ গণআন্দোলন, যা পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের শক্তিশালী প্রতিরোধ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটায়। আন্দোলনটি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক ও ছাত্র-সংগঠনের সমন্বয়ে আরও সংগঠিত হয়।
-
১৯৬৯ সালে ১১ দফা দাবি পেশ করা হয়।
-
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হিসেবে বিবেচিত।
-
১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া ও মেনন গ্রুপ), পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ ও ডাকসুর নেতৃবৃন্দ মিলে ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন।
-
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার সঙ্গে মিলিয়ে আরও কিছু দাবি নিয়ে ১১ দফা দাবি পেশ করে।
-
২২ মার্চ, আইয়ুব খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খানকে অপসারণ করেন।
-
২৫ মার্চ, আইয়ুব খান সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
-
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে গ্রাম ও শহরের কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে শ্রেণি চেতনার উন্মেষ ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
ইলবার্ট বিলের বিষয়বস্তু কী?
Created: 1 month ago
A
ইউরোপীয় অপরাধীদের ভারতীয় বিচারকদের দ্বারা বিচার করার বিধান।
B
ভারতীয় কৃষকদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ।
C
ব্রিটিশদের দ্বারা পরিচালিত বাণিজ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ।
D
ভারতীয় সংবাদপত্রের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ।
ইলবার্ট বিল (Elbert Bill)
-
ইলবার্ট বিলের বিষয়বস্তু: ইউরোপীয় অপরাধীদের ভারতীয় বিচারকদের দ্বারা বিচার করার বিধান।
-
প্রসঙ্গ: ১৮৮৩ সালে সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের আইন-সদস্য স্যার সি.পি. ইলবার্ট এই বিল প্রস্তাব করেন।
-
উদ্দেশ্য: ভারতীয় বিচারকদের কাছে ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করা এবং ভারতীয় ও ইউরোপীয় বিচারকদের মধ্যে সমমর্যাদা স্থাপন।
-
বিরোধ: ইউরোপীয়রা তীব্রভাবে বিরোধিতা করে, কারণ তারা মনে করত এটি তাদের শাসক অবস্থানে আঘাত করবে।
-
প্রভাব: ইলবার্ট বিল বিতর্ক ভারতের শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের দিকে উদ্বুদ্ধ করে, যা পরবর্তীতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক সংগঠন গঠনের পথ সুগম করে।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago