গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
A
সেনাবাহিনী
B
রাজনৈতিক দল
C
বিচার বিভাগ
D
স্থানীয় সরকার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি বহুদলীয় গণতন্ত্র, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
-
বিভিন্ন সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
-
স্বাধীনতার সূচনালগ্নেই দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৫-১৯৯১ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা ছিল।
-
বাংলাদেশের আইনসভা জাতীয় সংসদ নামে পরিচিত এবং এটি এককক্ষ বিশিষ্ট।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের নবম ভাগে কোন বিষয়ের বিধান বর্ণিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
নির্বাহী বিভাগ সম্পর্কিত বিধান
B
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব
C
সরকারি কর্ম কমিশনের কার্যাবলি
D
সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service Commission, BPSC)
সংবিধানগত বিধান:
-
নবম ভাগ, অনুচ্ছেদ ১৩৭–১৪১-এ সরকারি কর্ম কমিশন সম্পর্কিত বিধান বর্ণিত।
-
সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে সরকারী কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
প্রধান দায়িত্ব:
-
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করা।
-
জনপ্রশাসন ব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা ও মানসম্মত নিয়োগ নিশ্চিত করা।
-
দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পরিচালনা করে সরকারি চাকরিতে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন।
-
মানবসম্পদ পরিকল্পনায় উৎকর্ষ সাধন ও জাতীয় প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
বাংলাদেশ সংবিধানের কাঠামো:
-
সংবিধান ১১টি ভাগে বিভক্ত:
-
প্রজাতন্ত্র
-
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
মৌলিক অধিকার
-
নির্বাহী বিভাগ
-
আইনসভা
-
বিচার বিভাগ
-
নির্বাচন
-
মহাহিসাব নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশন
-
সংবিধান সংশোধন
-
বিবিধ বিষয়াবলি
-
উপসংহার:
সরকারী কর্ম কমিশন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যা সরকারি কর্মসংস্থানে যোগ্য ও সক্ষম জনবল নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের প্রশাসনকে কার্যকর ও স্বচ্ছ রাখে।
0
Updated: 1 month ago
সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ কোনগুলো?
Created: 1 month ago
A
আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ
B
দেওয়ানি আদালত ও ফৌজদারি আদালত
C
জেলা আদালত ও মেট্রোপলিটন আদালত
D
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট বিভাগ
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত, যা দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থার শীর্ষ সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ রয়েছে— আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ।
-
সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি থাকেন, যাকে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন।
-
প্রতিটি বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন, ততজন বিচারক নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি দুই বিভাগের অন্যান্য বিচারক নিযুক্ত করেন।
-
প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারক বিচার কার্য পরিচালনায় সম্পূর্ণ স্বাধীন।
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
-
যোগ্যতার জন্য প্রয়োজন—
-
কমপক্ষে ১০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে অভিজ্ঞতা, অথবা
-
বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে অভিজ্ঞতা।
-
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন শতকে সেন বংশের অবসান ঘটে?
Created: 1 month ago
A
১২ শতকে
B
১৩ শতকে
C
১৪ শতকে
D
১৫ শতকে
বাংলার ইতিহাসে সেন রাজাদের উত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১০৭০ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বছর সেনরা বাংলায় শাসন করেন। পালবংশের পতনের পর বাংলায় সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা নিজেদের দখলে আনে। এই সময়ে হেমন্ত সেন, বিজয় সেন, বল্লাল সেন, লক্ষ্মণ সেন, বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন রাজ্য পরিচালনা করেন।
-
বাংলায় সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন, যদিও তিনি কোনো রাজ্য প্রতিষ্ঠা না করায় প্রথম রাজার মর্যাদা দেওয়া হয় তার পুত্র হেমন্ত সেনকে।
-
সেন বংশের শেষ রাজা ছিলেন লক্ষ্মণ সেন।
-
১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে লক্ষ্মণ সেন প্রতিরোধ না করে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে পালিয়ে যান। এই অঞ্চলে তিনি আরও ২-৩ বছর রাজত্ব করেন।
-
সেনদের মূল রাজধানী ছিল নবদ্বীপ, তবে ১২০২ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর আক্রমণের সময় তাদের অস্থায়ী রাজধানী নদীয়া ছিল।
-
নদীয়ায় আক্রমণের পর লক্ষ্মণ সেন পূর্ববঙ্গে পালিয়ে যান।
-
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পর সেন বংশ দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং সামন্ত বিদ্রোহের ফলে বাংলায় সেনদের পতন ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago