কোনাে নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী তিনি মামলা করতে পারেন?
A
১০৩নং অনুচ্ছেদ
B
১০২নং অনুচ্ছেদ
C
১০৫নং অনুচ্ছেদ
D
১০৪নং অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সংবিধান হাইকোর্টকে মামলা গ্রহণ ও আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করেছে, যা সংবিধানের ১০২নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে প্রযোজ্য। এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধানিক উপায়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ:
-
৪৪(১) নং অনুচ্ছেদ: এই অনুচ্ছেদের অধীনে প্রদত্ত অধিকারসমূহ রক্ষা করার জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
-
৪৪(২) নং অনুচ্ছেদ: হাইকোর্টের ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ না করে সংসদ আইন দ্বারা অন্য আদালতকে হাইকোর্টের এখতিয়ার সীমার মধ্যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা যেতে পারে।
-
-
অনুচ্ছেদ ১০২: সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সংবিধানের অধীনে হাইকোর্টে মামলা বা রিট দায়ের করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
অন্য সংবিধানিক বিধানসমূহ:
-
১০৩: আপীল বিভাগের এখতিয়ার
-
১০৪: আপীল বিভাগের পরোয়ানা জারি ও নির্বাহ
-
১০৫: আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন-
Created: 1 month ago
A
নূরুল আমিন
B
আ স ম আব্দুর রব
C
সিরাজ চৌধুরী
D
আ স ম সোহরাওয়ার্দী
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রথমবার উত্তোলিত হয় স্বাধীনতার আগেই, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গণমানুষের প্রত্যাখ্যানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন হয় ২রা মার্চ, ১৯৭১।
-
স্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পশ্চিম দিকের গেটে।
-
উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা আ. স. ম. আবদুর রব।
-
এই উত্তোলন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বেই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে প্রত্যাখ্যানের অংশ ছিল।
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পটুয়া কামরুল হাসানকে দায়িত্ব দেন জাতীয় পতাকার নকশা চূড়ান্ত করার জন্য।
-
পটুয়া কামরুল হাসানের হাতেই বর্তমান জাতীয় পতাকা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্রচারণায় কোন শিল্পী বিশেষ ভূমিকা রাখেন?
Created: 1 month ago
A
জর্জ হ্যারিসন
B
জন লেনন
C
বব মার্লে
D
এলভিস প্রিসলি
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ:
-
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
-
৪০ হাজারের বেশি মানুষ এই কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন।
-
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী জর্জ হ্যারিসন এই কনসার্ট আয়োজন করেন এবং প্রাপ্ত অর্থ মুজিবনগর সরকারের কাছে তুলে দেন।
-
ভারতের খ্যাতিমান সেতারবাদক রবি শঙ্কর কনসার্ট আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এবং তিনি মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে উজ্জীবিত করেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
কনসার্টের আয়োজকদের মধ্যে রবি শঙ্কর অন্যতম।
-
বাংলাদেশের জনগণের সাহায্যার্থে রবি শঙ্কর প্রথম যোগাযোগ করেন বিটলসের সদস্য জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে।
-
১৯৭১ সালের ১লা আগস্টের কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন পপ সঙ্গীতের সুপারস্টার বব ডিলান, জর্জ হ্যারিসন এবং এরিক ক্ল্যাপটন সহ আরও বিশিষ্ট শিল্পীরা।
0
Updated: 1 month ago
ভাষা আন্দোলনে শহিদ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
আবুল বরকত
B
রফিক উদ্দিন আহমদ
C
আবদুল জব্বার
D
আব্দুস সালাম
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাঙালির জাতীয়তাবোধের উদ্ভব ঘটানোর ইতিহাসে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পুলিশের নৃশংসতার কারণে বহু শহীদ প্রমাণ হয়ে ওঠে সংগ্রামের তীব্রতা।
-
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দীন করাচি থেকে ঢাকায় আসেন।
-
তিনি পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলেন, প্রদেশের সরকারি কাজকর্মে কোন ভাষা ব্যবহৃত হবে তা প্রদেশের জনগণই ঠিক করবে, কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে কেবল উর্দু।
-
২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়, আবুল হাশিমের (১৯০৫–১৯৭৪) সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
-
২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাংশে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্রদের সভা হয়।
-
ছাত্ররা পাঁচ-সাতজন করে ছোট ছোট দলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগান নিয়ে রাস্তায় বের হয়।
-
পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুল জব্বার, আবুল বরকত।
-
আবুল বরকত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ শ্রেণীর ছাত্র।
0
Updated: 1 month ago