ওরাওঁ সমাজে গ্রামীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গঠিত সংগঠনের নাম কী?
A
পাঁড়হা
B
পাঞ্চেস
C
নাইগাস
D
মহাতোষ
উত্তরের বিবরণ
ওরাওঁ বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি নৃগোষ্ঠী, যারা তাদের নিজস্ব ভাষা, সাংস্কৃতিক প্রথা ও সামাজিক সংগঠন বজায় রেখে বসবাস করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
বাসস্থান: বরেন্দ্র অঞ্চল, পাশাপাশি ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলায় ঐতিহাসিকভাবে বসতি।
-
ভাষা ও বর্ণমালা: ভাষার নাম কুরুক, বর্ণমালা নেই এবং সাহিত্য মৌখিক।
-
জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস: অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় ভাষাতাত্ত্বিক গোষ্ঠী।
-
গ্রাম সংগঠন: পাঞ্চেস, যা যাবতীয় বিবাদ মেটানো ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কার্যকর।
-
গ্রাম প্রশাসন:
-
একজন হেডম্যান বা মহাতোষ
-
একজন পুরোহিত বা নাইগাস
-
গ্রামে বয়স্ক সাত-আটজন ব্যক্তি দ্বারা পাঞ্চেস গঠিত হয়।
-
-
পাঞ্চেসের কার্যকাল: সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা কয়টি?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
১টি
বাংলাদেশের সংবিধান – প্রস্তাবনা সংক্রান্ত তথ্য
-
প্রস্তাবনার সংখ্যা: ১টি
-
প্রস্তাবনার ভাগ: ৫টি
প্রস্তাবনার ভাগসমূহ:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
-
মূলনীতি গ্রহণ (অঙ্গীকার)
-
শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা (অঙ্গীকার)
-
সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা (ঘোষণা)
-
গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
সংবিধান গৃহীত: ৪ নভেম্বর ১৯৭২
-
কার্যকর: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
মোট অনুচ্ছেদ: ১৫৩
-
ভাগ: ১১টি
-
তফসিল: ৭টি
-
মূলনীতি: ৪টি
0
Updated: 1 month ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন কে?
Created: 1 month ago
A
শহিদ জামিল
B
শহিদ নূর হোসেন
C
শহিদ আসাদ
D
শহিদ মোস্তফা
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন।
-
জেনারেল এরশাদের শাসনকাল ছিল ৯ বছর।
-
১৯৯০ সালে, উত্তাল ও রক্তাক্ত সপ্তাহে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হাতে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।
-
নূর হোসেন এই আন্দোলনের একজন শহিদ।
-
নূর হোসেনের শহিদত্বের তিন বছর আগে ১৯৮৭ সালে এক গণআন্দোলন কঠোরভাবে দমন করা হয়।
-
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, গণতন্ত্রের দাবিতে বুকে-পিঠে শ্লোগান লিখে রাস্তায় নামা নূর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
-
তাঁর লেখা শ্লোগান ছিল:
-
বুকে: "স্বৈরাচার নীপাত যাক"
-
পিঠে: "গণতন্ত্র মুক্তি পাক"
-
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, তীব্র গণআন্দোলনের ফলে জেনারেল এরশাদের ৯ বছরের শাসন শেষ হয়।
0
Updated: 1 month ago
‘আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব’- উক্তিটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
মুনির চৌধুরী
B
জহির রায়হান
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
হাসান হাফিজুর রহমান
‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাস
-
বিখ্যাত উক্তি: "আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো।"
-
উপন্যাসটি রচনা করেছেন জহির রায়হান, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে।
-
প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে।
-
মূল বিষয়: ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন, জনতার সম্মিলন, ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, এবং তাদের প্রেম-প্রণয়।
-
বিখ্যাত সংলাপের মাধ্যমে উপন্যাসের সমাজ ও আন্দোলনভিত্তিক প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
মুমিন
-
আসাদ
-
রসুল
-
সালমা
জহির রায়হান
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখক।
-
হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য তিনি আদমজী পুরস্কার লাভ করেছেন।
-
১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জহির রায়হানের রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
হাজার বছর ধরে
-
আরেক ফাল্গুন
-
বরফ গলা নদী
-
আর কত দিন
-
কয়েকটি মৃত্যু
তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ:
-
সোনার কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
জীবন থেকে নেয়া
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা
0
Updated: 1 month ago