বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে -
A
লিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
B
অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
C
লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
D
অলিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় দলিল, যা দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, নাগরিক অধিকার ও সরকারি কাঠামো নির্ধারণ করে। এর মূল কাঠামো পরিবর্তন করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংবিধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের, যা কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায়ের সংখ্যা: ১১টি।
-
সংবিধানের মূলনীতি সংখ্যা: ৪টি।
-
সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়, অর্থাৎ এর পরিবর্তন সহজ নয়।
-
সংবিধান দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ করে।
উল্লেখযোগ্য: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি হলো লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়।
0
Updated: 1 month ago
’ফোকেটিং’ কোন দেশের আইনসভা?
Created: 1 month ago
A
সুইডেন
B
ডেনমার্ক
C
আফগানিস্তান
D
আইসল্যান্ড
বিভিন্ন দেশের আইনসভার নাম:
-
ডেনমার্ক: ফোকেটিং (Folketing)।
-
আফগানিস্তান: লয়াজিরগা (Loya Jirga)।
-
নেপাল: ফেডারেল পার্লামেন্ট (Federal Parliament)।
-
সুইডেন: রিক্সড্যাগ (Riksdag)।
-
আইসল্যান্ড: আলথিং (Althing)।
-
ফিনল্যান্ড: এডুসকুন্ডা (Eduskunta)।
-
ইসরায়েল: নেসেট (Knesset)।
উৎস: ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পণে অস্থায়ী সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
এম. এ. জি. ওসমানী
B
এ .কে. খন্দকার
C
কর্নেল আবু তাহের
D
ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত আলী
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৬ ডিসেম্বর একটি ইতিহাসচিহ্নিত দিন, যখন পাকিস্তানি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার পথে নিশ্চিত অগ্রগতি অর্জন করে।
-
সময়: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
-
স্থান: ঢাকার রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
-
পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী আত্মসমর্পণ করেন।
-
আত্মসমর্পণকালে পাকিস্তানি বাহিনী ৯৩ হাজার সৈন্য ও অস্ত্র-শস্ত্রসহ ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নিকট সমর্পিত হয়।
-
নিয়াজী পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন।
-
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮১ অনুযায়ী 'অর্থ বিল' (Money Bill)-এর সংজ্ঞায় কোন ধরনের বিল অন্তর্ভুক্ত নয়?
Created: 1 month ago
A
কর আরোপ, নিয়ন্ত্রণ, রদবদল, মওকুফ বা রহিতকরণ
B
সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণ বা গ্যারান্টি প্রদান
C
সংযুক্ত তহবিলের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যয় সংক্রান্ত বিল
D
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কর আরোপ বা ফি ধার্যকরণ
বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ৮১ অর্থবিল সংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ করেছে।
অর্থবিলের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ (অনুচ্ছেদ ৮১(১)):
-
কর সংক্রান্ত পরিবর্তন
-
সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণ বা দায়-দায়িত্ব
-
সংযুক্ত তহবিল সংক্রান্ত ব্যয়
-
সরকারের হিসাব ও নিরীক্ষা
সীমাবদ্ধতা (অনুচ্ছেদ ৮১(২)):
-
শুধুমাত্র স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর, জরিমানা, লাইসেন্স ফি বা ফি ধার্যকরণ সংক্রান্ত বিলকে অর্থবিল হিসেবে গণ্য করা হবে না।
অর্থবিলের বৈশিষ্ট্য ও প্রক্রিয়া:
-
অর্থবিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল, যা সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি বাস্তবায়নের জন্য সংসদে উত্থাপিত হয়।
-
কোনো বিল অর্থবিল কিনা, তা নির্ধারণে স্পিকারের সার্টিফিকেট চূড়ান্ত মত হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
-
অর্থবিল বা অর্থব্যয় সংক্রান্ত বিলের উদ্যোক্তা সরকার।
-
সংসদে উত্থাপনের পর বিলটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাস করতে হয়।
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য বিল উপস্থাপন করলে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতি প্রদান করেন।
-
যদি রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি না দেন, বিলটি আইনে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮১-এ ‘অর্থবিল’ সম্পর্কিত সব বিধান বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago