চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
A
রাজনৈতিক দল গঠন
B
সরাসরি ক্ষমতা দখল
C
জনমত গঠন
D
সরকারি নীতি প্রভাবিত করা
উত্তরের বিবরণ
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি সংগঠিত গোষ্ঠী, যা সরাসরি সরকারি ক্ষমতা দখল না করেও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করে। এরা সাধারণত বিশেষ স্বার্থ রক্ষা ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধভাবে কার্যকর হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করা।
-
তারা সরকারি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে না, বরং নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করে।
-
সাধারণত এই গোষ্ঠীগুলো নির্দিষ্ট সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা পেশাগত স্বার্থকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়।
-
তারা সংঘবদ্ধভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে।
-
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যালান বল, এইচ জিগলার ও অ্যালমন্ড-পাওয়েল এই গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় একমত; এরা সংগঠিত এবং লক্ষ্য-সচেতন।
-
তাই বলা যায়, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হলো নীতিনির্ধারক মহলে চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করা।
0
Updated: 1 month ago
প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূখণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র ছিল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সিলেট
B
বরিশাল
C
কুমিল্লা
D
নোয়াখালী
চন্দ্রদ্বীপ:
- প্রাচীন যুগে বাংলা কোন একক রাজ্য ছিল না।
- বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন অনেকগুলো ছোট ছোট অঞ্চলে বিভক্ত ছিল।
- যেমন: পুণ্ড্র, বরেন্দ্র, বঙ্গ, সমতট, চন্দ্রদ্বীপ, হরিকেল, রাঢ় ইত্যাদি।
- বর্তমান বরিশাল জেলা ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূখণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র।
- মধ্যযুগে চন্দ্রদ্বীপ বেশ সমৃদ্ধ ছিল।
- এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য:
- সিলেটের প্রাচীন নাম হরিকেল।
- কুমিল্লা ও নোয়াখালী সমতট জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, এক ফসলি জমির পরিমাণ কত?
Created: 1 month ago
A
২০,৪৪,০০০ হেক্টর
B
২৭,৩৯,০০০ হেক্টর
C
৩২,১৮,০০০ হেক্টর
D
৩৮,৬৩,০০০ হেক্টর
আবাদী ও অনাবাদী জমি (২০২৪):
-
আবাদযোগ্য নয় এমন জমি: ৮৩,৫৮,০০০ একর
-
মোট আবাদযোগ্য জমি: ৩,৯২,৯৬,০০০ একর (১,৫৯,০৩,০০০ হেক্টর)
-
এক ফসলি জমি: ৫০,৪৯,০০০ একর (২০,৪৪,০০০ হেক্টর)
-
দুই ফসলি জমি: ১,০১,৪০,০০০ একর (৪১,০৫,০০০ হেক্টর)
-
তিন ফসলি জমি: ৪৫,৯৩,০০০ একর (১৮,৫৯,০০০ হেক্টর)
-
চার ফসলি জমি: ৪৭,০০০ একর (১৯,০০০ হেক্টর)
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
মণিপুরী জাতিগোষ্ঠী প্রধানত বসবাস করে কোথায়?
Created: 1 month ago
A
কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি
B
সিলেট ও মৌলভীবাজার
C
পটুয়াখালী ও বরগুনা
D
দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও
মণিপুরী জাতিসত্তা মূলত ভারতের মণিপুর রাজ্যের বাসিন্দা, যারা বাংলাদেশের কিছু উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলায় বসবাস করে। এরা মঙ্গোলয়েড জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা, ধর্ম, পেশা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে।
-
অবস্থান: মূলত ভারতের মণিপুর রাজ্য; বাংলাদেশে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায়।
-
অন্যান্য নাম: মেইতেই।
-
উৎপত্তি: মঙ্গোলয়েড জাতিগোষ্ঠী; প্রায় ১৭শ শতাব্দীতে মণিপুর থেকে সিলেট অঞ্চলে আগমন।
-
ভাষা: মণিপুরী বা মেইতেই লোন, তিব্বত-বর্মণ ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
-
ধর্ম: প্রধানত হিন্দু (বিশেষত বৈষ্ণব সম্প্রদায়), কিছু মণিপুরী মুসলিম (পাঙাল বা মণিপুরী মুসলমান)।
-
পেশা: কৃষিকাজ, তাঁতশিল্প (বিশেষত শাড়ি ও কাপড় বুনন), ক্ষুদ্র ব্যবসা।
-
সংস্কৃতি: মণিপুরী নৃত্য (বিশ্ববিখ্যাত শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী) এবং নিজস্ব উৎসব যেমন রাস উৎসব।
0
Updated: 1 month ago