কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
A
কোচ
B
ডালু
C
চাক
D
নাগা
উত্তরের বিবরণ
নাগা, কোচ, ডালু এবং চাক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, যারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা ধরে রেখেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নাগা:
-
নাগা নৃগোষ্ঠী মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে।
-
-
কোচ:
-
কোচ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের একটি প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস করছে।
-
তাদের বিস্তৃতি মূলত আদিভূমি কোচবিহার থেকে এসেছে।
-
-
ডালু:
-
ডালু জাতি বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মূলত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে।
-
অনেকের ধারণা, তাদের আসল ভাষা হলো মণিপুরি।
-
-
চাক:
-
চাক বাংলাদেশের একটি উপজাতি, যারা বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে।
-
তারা নিজেদের ভাষা চাক ভাষা বলে পরিচিত।
-
চাক ভাষায় ‘চক’ শব্দের অর্থ হলো ‘দাঁড়ানো’।
-
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ‘ANNIHILATE THESE DEMONS’ শিরোনামের পোস্টারটি কে এঁকেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান
-
পরিচিতি:
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
-
জন্ম: ২ ডিসেম্বর ১৯২১, কলকাতায় (পিতার কর্মস্থল)।
-
অবদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করেন।
-
তাঁর ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ চিত্রকর্ম অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকেট প্রকাশ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ ও বিখ্যাত পোস্টার
-
প্রসিদ্ধ পোস্টার: ১৯৭১ সালে তিনি আঁকেন "ANNIHILATE THESE DEMONS (এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে)" শিরোনামের ঐতিহাসিক পোস্টার।
-
প্রেক্ষাপট:
-
২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের সর্বত্র গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নারীর উপর নৃশংস নির্যাতন চালায়।
-
এর মূল নির্দেশদাতা ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
-
-
প্রতীকী প্রকাশ:
-
কামরুল হাসান ব্যঙ্গচিত্রে ইয়াহিয়ার মুখাবয়বকে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এই শিল্পকর্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ সংগ্রামে শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমে পরিণত হয়।
-
-
প্রকাশ ও প্রচার:
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯৭১ সালের মে মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত জয় বাংলা পত্রিকায়।
-
পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এক রঙে এর লক্ষাধিক কপি ছাপিয়ে মুক্তাঞ্চলে বিতরণ করে।
-
বিদেশি প্রচারের জন্য ইংরেজি ভাষ্যে এর শিরোনাম ছিল: Annihilate the Demons।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) প্রথম আলো
0
Updated: 1 month ago
‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ সম্পর্কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে আলোকপাত করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১১ নং
B
১৭ নং
C
১৮ নং
D
২১ নং
বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১ নং অনুচ্ছেদে এর বিস্তারিত বিধান রয়েছে।
-
সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে প্রজাতন্ত্র হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে।
-
এখানে মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
-
প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হবে।
-
সমাজজীবনে সর্বপ্রকার বৈষম্য দূরীকরণ করা হবে এবং নাগরিকদের মৌলিক মানবিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার বিষয়ে বিধান রাখা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, এক ফসলি জমির পরিমাণ কত?
Created: 1 month ago
A
২০,৪৪,০০০ হেক্টর
B
২৭,৩৯,০০০ হেক্টর
C
৩২,১৮,০০০ হেক্টর
D
৩৮,৬৩,০০০ হেক্টর
আবাদী ও অনাবাদী জমি (২০২৪):
-
আবাদযোগ্য নয় এমন জমি: ৮৩,৫৮,০০০ একর
-
মোট আবাদযোগ্য জমি: ৩,৯২,৯৬,০০০ একর (১,৫৯,০৩,০০০ হেক্টর)
-
এক ফসলি জমি: ৫০,৪৯,০০০ একর (২০,৪৪,০০০ হেক্টর)
-
দুই ফসলি জমি: ১,০১,৪০,০০০ একর (৪১,০৫,০০০ হেক্টর)
-
তিন ফসলি জমি: ৪৫,৯৩,০০০ একর (১৮,৫৯,০০০ হেক্টর)
-
চার ফসলি জমি: ৪৭,০০০ একর (১৯,০০০ হেক্টর)
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago