বাংলাদেশের সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিধান কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে?
A
১০৩নং অনুচ্ছেদ
B
১১৭নং অনুচ্ছেদ
C
১০৮নং অনুচ্ছেদ
D
১১০নং অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা সংসদের নিকট সংরক্ষিত। এই ট্রাইব্যুনালগুলো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারী ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে এখতিয়ার প্রয়োগের জন্য কার্যকর।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের উদ্দেশ্য:
-
নবম ভাগে বর্ণিত বিষয়াদি এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্মশর্ত ও দণ্ড সম্পর্কিত বিষয়।
-
যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা এবং সম্পত্তির অর্জন ও বণ্টন।
-
-
সংসদের ক্ষমতা: আইনের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা।
অন্য সংবিধানিক প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
১০৩নং অনুচ্ছেদ: আপিল বিভাগের এখতিয়ার সংজ্ঞা।
-
১০৮নং অনুচ্ছেদ: সুপ্রিম কোর্টকে "কোর্ট অফ রেকর্ড" হিসেবে সংজ্ঞায়িত।
-
১১০নং অনুচ্ছেদ: অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্টে মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত বিধান।

0
Updated: 15 hours ago
'শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা' হলো বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনার -
Created: 15 hours ago
A
নীতি
B
বিধি
C
ঘোষণা
D
অঙ্গীকার
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ আইন, যেখানে রাষ্ট্রের কাঠামো, মূলনীতি, নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধান বিভক্ত হয়েছে ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে।
-
এতে মোট ৭টি তফসিল রয়েছে।
-
৪টি মূলনীতি সংবিধানে স্থান পেয়েছে।
-
সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে ১টি প্রস্তাবনা।
-
প্রস্তাবনাটি আবার ৫টি ভাগে বিভক্ত:
-
১ম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
-
২য়: মূলনীতি গ্রহণ (অঙ্গীকার)
-
৩য়: শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা (অঙ্গীকার)
-
৪র্থ: সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা (ঘোষণা)
-
৫ম: গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
-

0
Updated: 15 hours ago
‘ষাটগম্বুজ মসজিদ’-এর নির্মাতা কে?
Created: 5 days ago
A
সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ
B
খান আল-আজম উলুগ খান জাহান
C
মির্জা আবু তালিব
D
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব
ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি এবং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম চিত্তাকর্ষক নিদর্শন।
-
মসজিদের নির্মাতা ছিলেন খান আল-আজম উলুগ খান জাহান, যিনি তৎকালীন সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-৫৯)-এর সম্মানে বিজিত অঞ্চলকে খলিফাতাবাদ নামে নামকরণ করেন।
-
খান জাহান ১৪৫৯ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত হাভেলি-খলিফাতাবাদ থেকে উক্ত অঞ্চল শাসন করেন। তাঁর শাসিত অঞ্চল বর্তমান বাগেরহাটের সাথে অভিন্ন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
-
সময়ের ব্যবধানে মসজিদটি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়।
-
ব্রিটিশ সরকার এর সংস্কার ও মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করে, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ধারাবাহিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ চালিয়ে যায়।
-
বিশ শতকের আশির দশকের শুরুতে ইউনেসকো (UNESCO) এই ঐতিহাসিক স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকরী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যা বর্তমানে শেষের পর্যায়ে রয়েছে।
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
'Exercise Tiger Lightning 2025' কী?
Created: 15 hours ago
A
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া
B
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর বার্ষিক মহড়া
C
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়া
D
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া
Exercise Tiger Lightning 2025 হলো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি যৌথ সামরিক মহড়া, যা পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা ও যৌথ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
আয়োজনকারী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড (United States Army Pacific Command-এর তত্ত্বাবধানে)।
-
স্থান: সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসস্থ প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড।
-
অংশগ্রহণকারীরা:
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৬৬ জন নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড সদস্য
-
বাংলাদেশ: ১০০ জন প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড সদস্য
-
-
সময়কাল: ২৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ৬ দিন
-
উদ্দেশ্য:
-
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
-
কৌশলগত যৌথ আভিযানিক সক্ষমতা উন্নয়ন
-
সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করা
-

0
Updated: 15 hours ago