মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম -
A
রাশ
B
বিজু
C
বাইশু
D
সাংগ্রাই
উত্তরের বিবরণ
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই, যা মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব। এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং তাদের সামাজিক ঐতিহ্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ।
মারমা ও সাংগ্রাই উৎসব সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
তাদের বসবাসের মূল এলাকা হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি — এই তিন পার্বত্য জেলা।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত।
-
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরের প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধানের পদবী কারবারি,
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান হেডম্যান,
-
সার্কেলের প্রধান রাজা।
-
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই, যা এসেছে ‘সাক্রাই’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘সংক্রান্তি’।
-
সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়।
-
সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ হলো ‘পানিখেলা’ বা জলোৎসব, যেখানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্ষবরণ উৎসবের আলাদা আলাদা নাম থাকলেও, এই তিন বড় নৃগোষ্ঠীর উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
-
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব: বৈসুখ/বৈসু/বাইশু
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই
-
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব: বিজু
এই তিনটি উৎসব একত্রে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় উৎসবটি পালিত হয়।
অন্যদিকে, মণিপুরিদের প্রধান উৎসব হলো রাস, যা শরতের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
২০২৬ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) ১৪তম মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
Created: 1 month ago
A
নাইরোবি, কেনিয়া
B
আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত
C
ইয়াউন্দে, ক্যামেরুন
D
জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
WTO (World Trade Organization) হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সংস্থা।
-
প্রতিষ্ঠিত: ১ জানুয়ারি, ১৯৯৫
-
বর্তমান সদস্য দেশ: ১৬৬টি
-
সদরদপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
মহাপরিচালক: এনগোজি ওকোনজো ইওয়েলা
-
প্রতিষ্ঠাকালীন নাম: General Agreement on Tariffs and Trade (GATT)
-
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) ১৪তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন (MC14) অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ২৬ থেকে ২৯ মার্চ, ইয়াউন্দে, ক্যামেরুনে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ বীমা কোম্পানীর নিয়ন্ত্রক সংস্থা-
Created: 1 month ago
A
বাংলাদেশ ব্যাংক
B
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ
C
বীমা সমিতি
D
আই.ডি.আর.এ
আইডিআরএ হলো বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, যা বাংলাদেশে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের জন্য গঠিত হয়েছে।
-
এটি ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি গঠিত হয়, "বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০" অনুযায়ী।
-
বাংলাদেশ সরকার "বীমা আইন, ২০১০" প্রণয়ন করেছে, যার উদ্দেশ্য হলো বীমা ব্যবসাকে উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা।
-
আইডিআরএর মূল লক্ষ্য হলো বীমা ব্যবসার তদারকি করা এবং বীমা গ্রহীতার স্বার্থ রক্ষা করা।
0
Updated: 1 month ago
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
ধর্মপাল
B
দেবপাল
C
গোপাল
D
মহীপাল
বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ গোপালকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে।
পাল বংশ:
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল।
-
বাংলার ইতিহাসে এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে খ্যাত।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ অরাজক পরিস্থিতি।
-
অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago