চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
A
রাজনৈতিক দল গঠন
B
সরাসরি ক্ষমতা দখল
C
জনমত গঠন
D
সরকারি নীতি প্রভাবিত করা
উত্তরের বিবরণ
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি সংগঠিত গোষ্ঠী, যা সরাসরি সরকারি ক্ষমতা দখল না করেও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করে। এরা সাধারণত বিশেষ স্বার্থ রক্ষা ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধভাবে কার্যকর হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করা।
-
তারা সরকারি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে না, বরং নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করে।
-
সাধারণত এই গোষ্ঠীগুলো নির্দিষ্ট সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা পেশাগত স্বার্থকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়।
-
তারা সংঘবদ্ধভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে।
-
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যালান বল, এইচ জিগলার ও অ্যালমন্ড-পাওয়েল এই গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় একমত; এরা সংগঠিত এবং লক্ষ্য-সচেতন।
-
তাই বলা যায়, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হলো নীতিনির্ধারক মহলে চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করা।

0
Updated: 15 hours ago
'গ্রাম সরকার' ব্যবস্থার প্রবক্তা ছিলেন -
Created: 8 hours ago
A
জিয়াউর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
বিচারপতি আবদুস সাত্তার
D
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বিকাশে গ্রাম সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ ধারণা প্রবর্তন করেন, যার লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ জনগণকে স্বনির্ভর করে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ত করা।
-
গ্রাম সরকার ব্যবস্থার প্রবক্তা ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
-
তিনি ব্রিটিশ আমলের চৌকিদার মডেলের ভিত্তিতে গ্রাম পুলিশ গঠন করেন।
-
গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং তাদের নেতৃত্ব, সততা ও কর্মস্পৃহা দেখে ‘স্বনির্ভর গ্রাম সরকার’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
-
এই ব্যবস্থায় জনগণ নিজেরাই তাদের সমস্যা নির্ধারণ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করত।
-
গ্রাম সরকারে মোট ১৪ জন সদস্য থাকতেন, এর মধ্যে ৬ জন নারী সদস্য ছিলেন।
-
পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করে উপজেলা পরিষদ গঠন করেন, যা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নতুন কাঠামো তৈরি করে।

0
Updated: 8 hours ago
কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ?
Created: 1 week ago
A
ঋণ নিয়ন্ত্রণ
B
সঞ্চয় স্থানান্তর
C
ঋণ প্রদান
D
আমানত গ্রহণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক:
- প্রতিটি দেশে বাধ্যতামূলকভাবে একটি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মুদ্রা বাজার এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থেকে এসকল কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে। এটিকে সরকারের ব্যাংক বলে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য ছাড়া অর্থ ও মূদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্ব অপরিসীম। সৃষ্টির পর থেকেই মুদ্রা প্রচলন, অর্থ সরবরাহ এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক পালন করে আসছে।
- বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
⇒ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি:
- মুদ্রা প্রচলন।
- মুদ্রার মুল্যমান সংরক্ষণ।
- মুদ্রা বাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ।
- ঋণ নিয়ন্ত্রণ।
- রিজার্ভ সংরক্ষণ।
- বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ।
- বৈদেশিক মূদ্র্য ও বিনিময় নিয়ন্ত্রণ।
- সরকারের উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি।
- সরকারের আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
উৎস: ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
GATT চুক্তির কোন রাউন্ডের মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার জন্ম হয়?
Created: 2 days ago
A
উরুগুয়ে রাউন্ড
B
টোকিও রাউন্ড
C
কেনেডি রাউন্ড
D
জেনেভা রাউন্ড
GATT চুক্তির রাউন্ড ১৯৪৭ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে মোট ৮টি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
GATT রাউন্ডসমূহ:
-
জেনেভা রাউন্ড (Geneva Round)
-
অ্যানেসি রাউন্ড (Annecy Round)
-
টরকুয়ে রাউন্ড (Torquay Round)
-
জেনেভা রাউন্ড II (Geneva II Round)
-
ডিলন রাউন্ড (Dillon Round)
-
কেনেডি রাউন্ড (Kennedy Round)
-
টোকিও রাউন্ড (Tokyo Round)
-
উরুগুয়ে রাউন্ড (Uruguay Round)
উরুগুয়ে রাউন্ড (Uruguay Round):
-
GATT রাউন্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ
-
সংলাপ চলেছিল ৮ বছর ধরে, শুরু: সেপ্টেম্বর ১৯৮৬
-
সমাপ্তি: ১৫ এপ্রিল, ১৯৯৪, GATT চুক্তি সংশোধনের মাধ্যমে
-
ফলস্বরূপ, নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়
-
১৯৯৫ সালে এর ভিত্তিতে World Trade Organization (WTO) প্রতিষ্ঠিত হয়

0
Updated: 2 days ago