গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কোন তারিখ থেকে?
A
জানুয়ারি ১০, ১৯৭৩
B
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭২
C
নভেম্বর ৪, ১৯৭২
D
অক্টোবর ১১, ১৯৭২
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হয়। বহু আলোচনা, বিতর্ক ও পর্যালোচনার পর গৃহীত এই সংবিধানকে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসে কার্যকর করা হয়, যা নতুন রাষ্ট্রের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন।
সংবিধানের কাঠামো ও উপাদান:
-
এই সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
সংবিধানটি বিভক্ত হয়েছে ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে।
-
এতে রয়েছে ৭টি তফসিল যা বিভিন্ন আইনি বিবরণ সংযুক্ত করে।
-
প্রস্তাবনা অংশে সংবিধানের মূল চেতনা ও লক্ষ্য নির্দেশ করা হয়েছে।
-
সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ৪টি মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি হচ্ছে:
১. জাতীয়তাবাদ
২. সমাজতন্ত্র
৩. গণতন্ত্র
৪. ধর্মনিরপেক্ষতা
প্রণয়নের ধাপসমূহ:
-
সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত খসড়া প্রণয়ন কমিটি ১৯৭২ সালের ১১ অক্টোবর চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে।
-
পরে, ১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, জাতীয় সংসদের স্পিকার এটি প্রমাণীকরণ করেন, যা ছিল সংবিধান কার্যকর হওয়ার এক ধাপ আগে।
এই সংবিধান শুধু দেশের শাসনব্যবস্থার দিকনির্দেশনাই দেয় না, বরং এটি আমাদের নাগরিক অধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রের চরিত্র ও মূল্যবোধের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।
0
Updated: 3 months ago
সোনালী আঁশের দেশ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
ভারত
B
শ্রীলঙ্কা
C
পাকিস্তান
D
বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে ‘সোনালী আঁশের দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে, কারণ এখানকার অর্থনীতিতে পাটের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাট শুধু একটি কৃষিপণ্য নয়, বরং এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবেও বিবেচিত।
পাটের গুরুত্ব ও পরিচিতি
-
পাট হলো এক প্রকার আঁশযুক্ত ফসল, যা বর্ষাকালে চাষ করা হয়।
-
এটি বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
প্রতিবছর পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
-
এসব কারণে পাটকে ‘সোনালী আঁশ’ নামে ডাকা হয়।
পাটকে ‘সোনালী আঁশ’ বলার চারটি মূল কারণ:
১. অর্থনৈতিক অবদান: কৃষিপণ্যের মধ্যে পাট ও এর তৈরি পণ্যের রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ বৈদেশিক আয় করে, তা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে।
২. উপযোগী পরিবেশ: বাংলাদেশের উর্বর মাটি ও অনুকূল জলবায়ু পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, যা উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে।
৩. জনসম্পৃক্ততা: দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ পাট চাষ, প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
৪. বিশ্বে অবস্থান: পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ ভারতের পরেই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, যা বৈশ্বিক বাজারেও দেশকে গুরুত্ব দেয়।
পাটের সম্ভাবনা ও বহুমুখী ব্যবহার
-
দেশের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ কোনো না কোনোভাবে পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
-
পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ, শাড়ি, জুতা, স্যান্ডেল, বিছানার চাদর, পর্দা, সোফা কভার, কার্পেটসহ নানা ধরনের আধুনিক পণ্য।
-
পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা আরও বেড়ে যাবে।
উপসংহার:
পাট কেবল একটি ফসল নয়, বরং এটি বাংলাদেশের পরিচিতি, অর্থনীতির স্তম্ভ এবং পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।
তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, পাট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 3 months ago
‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ সম্পর্কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে আলোকপাত করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১১ নং
B
১৭ নং
C
১৮ নং
D
২১ নং
বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১ নং অনুচ্ছেদে এর বিস্তারিত বিধান রয়েছে।
-
সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে প্রজাতন্ত্র হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে।
-
এখানে মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
-
প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হবে।
-
সমাজজীবনে সর্বপ্রকার বৈষম্য দূরীকরণ করা হবে এবং নাগরিকদের মৌলিক মানবিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার বিষয়ে বিধান রাখা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ ‘সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া’ সম্পর্কিত?
Created: 1 month ago
A
৬৭ (১) নং
B
৬৯ নং
C
৬৮ নং
D
৭০ (১) নং
সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হওয়ার শর্তাবলি
সংবিধানের ৬৭ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
কোনো সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হবে, যদি—
-
শপথ গ্রহণ না করলে: নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করতে এবং শপথপত্র/ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন।
-
তবে শর্ত থাকে যে, এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথাযথ কারণে সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
-
-
অবিরাম অনুপস্থিত থাকলে: সংসদের অনুমতি ছাড়া একটানা নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন।
-
সংসদ ভেঙে গেলে।
-
অযোগ্য হলে: সংবিধানের ৬৬(২) দফার অধীনে অযোগ্য হয়ে পড়েন।
-
দলীয় সীমানা লঙ্ঘন করলে: সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সংবিধানের ৬৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
কোনো সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে নিজের পদ ত্যাগ করতে পারেন।
-
স্পিকার পত্রটি গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার আসন শূন্য হবে।
-
যদি স্পিকারের পদ শূন্য থাকে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হন, তবে ডেপুটি স্পিকার পত্রটি গ্রহণ করলে সেই মুহূর্ত থেকে সদস্যপদ শূন্য গণ্য হবে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago