নিকারাগুয়ার ‘কন্ট্রা’ বিদ্রোহীরা
নিকারাগুয়ার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ছিল ‘কন্ট্রা’, যারা দেশটির তৎকালীন বামপন্থি সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে আন্দোলন চালায়। এই বিদ্রোহীদের পেছনে সরাসরি সমর্থন জুগিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন শান্তি প্রক্রিয়া ও ‘অসলো চুক্তি’:
১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে উপনীত হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন।
যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতায় পৌঁছান ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন। চুক্তিটি ‘অসলো চুক্তি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পিএলও পার্টির নেতা ইয়াসির আরাফাত।
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিনের সংঘাত বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাওয়া। যদিও হামাসসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী তখন থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।
পরবর্তীতে, ফিলিস্তিনে একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হয়, যারা পশ্চিম তীর ও গাজা অঞ্চল মিলিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানানো হয়েছে যে, তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হতে হবে পূর্ব জেরুসালেম।
অসলো চুক্তির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একাধিক দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের উদ্যোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও ইয়াসির আরাফাতের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের নতুন এক আন্দোলন শুরু হয়, যা ‘দ্বিতীয় ইন্তিফাদা’ নামে পরিচিত। এই সহিংস পরিস্থিতি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
২০০৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করা হয়। এর লক্ষ্য ছিল, সহিংসতা বন্ধ করে ২০০৫ সালের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ সুগম করা।
তথ্যসূত্র:
১. বিবিসি বাংলা (প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩)
২. ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট (.gov)