বাংলা ধাতু হলো সেই সকল ধাতু বা ক্রিয়ামূল, যা সরাসরি সংস্কৃত থেকে আসে নি, অর্থাৎ স্বতঃসিদ্ধভাবে বাংলায় উৎপন্ন।
উদাহরণ:
-
কাদ্
-
কাট্
-
নাচ্
-
আক্
-
কহ্
-
কর্
অন্যদিকে, সংস্কৃত ধাতু:
-
কথ্
-
বুধ্
-
গঠ্
'যত বেশি খাটবে ততই সুফল পাবে' - বাক্যে 'খাটবে' শব্দটি কোন ধাতুযোগে গঠিত?
A
প্রযোজক ধাতু
B
সংস্কৃত ধাতু
C
বিদেশগাত ধাতু
D
বাংলা ধাতু
উত্তরের বিবরণ
বিদেশাগত ধাতু:
বিদেশি ভাষা থেকে আগত যেসব ধাতু বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়, তাদের বিদেশাগত ধাতু বা বিদেশি ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ:
খাট্ + বে → যত বেশি খাটবে ততই সুফল পাবে।
বিগডু + আনো → তোমার বিগড়ানো ছেলেকে ভালো করার সাধ্য আমার নেই।
টান্ + আ → আমাকে নিয়ে টানাটানি করো না, আমি যাব না।
জম্ + আট → অন্ধকার বেশ জমাট বেঁধেছে।
0
Updated: 1 month ago
'কথিত' শব্দটির গঠন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
উপসর্গ + মূল শব্দ
B
উপসর্গ + ধাতু + প্রত্যয়
C
ধাতু + প্রত্যয়
D
দুটি শব্দের সন্ধি
সঠিক উত্তর হলো গ) ধাতু + প্রত্যয়। "কথিত" শব্দের গঠন ও বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হলো।
শব্দগঠন:
• কথ্ = ধাতু (√ কথ্ = বলা)
• ইত = কৃত প্রত্যয়
• কথ্ + ইত = কথিত
ব্যাখ্যা:
"কথিত" শব্দটি ধাতু কথ্–এর সঙ্গে ইত কৃত প্রত্যয় যোগে গঠিত। এর অর্থ — যা বলা হয়েছে বা উক্ত।
অনুরূপ উদাহরণ:
• লিখ্ + ইত = লিখিত (যা লেখা হয়েছে)
• পঠ্ + ইত = পঠিত (যা পড়া হয়েছে)
• শুন্ + ইত = শ্রুত > শোনিত (যা শোনা হয়েছে)
• রক্ষ্ + ইত = রক্ষিত (যা রক্ষা হয়েছে)
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
• ইত কৃত প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কৃদন্ত পদ গঠন করে।
• সাধারণত এটি অতীত কালের ভাব বা সম্পন্ন কাজ বোঝায়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মৌলিক বাংলা ধাতু?
Created: 1 month ago
A
পঠ্
B
খাদ্
C
কৃৎ
D
কিন্
'কিন্' একটি মৌলিক বাংলা ধাতু। মৌলিক ধাতু সাধারণত তিন প্রকারে বিভক্ত হয় এবং এগুলোর মধ্যে বাংলা, সংস্কৃত ও বিদেশি ধাতু বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ধাপে ধাপে প্রতিটি ধরণের ধাতুর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
মৌলিক ধাতু ৩ প্রকার
ক) বাংলা ধাতু
খ) সংস্কৃত ধাতু
গ) বিদেশি ধাতু
বাংলা ধাতু
যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সরাসরি আসেনি, সেগুলোকে বাংলা ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: কাদ্, কাট্, নাচ্, আক্, কহ্, কর্, কিন্, গড়্, ধর্, পড়্, রাখ্, শুন্, হাস্, বুঝ্ ইত্যাদি।
সংস্কৃত মূল ধাতু
যেসব ক্রিয়াপদের মূল সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, সেগুলো সংস্কৃত মূল ধাতু নামে পরিচিত। এ ধাতুগুলোর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্রিয়া, বিশেষ্য, বাক্রিয়া ও বিশেষণ গঠিত হয়।
উদাহরণ: অঙ্ক, কথ্, কৃৎ, খাদ্, হস্, পঠ্, দৃশ্, বুধ্, স্থা, শ্রু, ধৃ, বন্ধ্, ঘৃষ্, ক্রী ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি বাংলা ধাতু?
Created: 1 month ago
A
গঠ্
B
বুধ্
C
আক্
D
কথ্
0
Updated: 1 month ago