রূঢ়ি শব্দ:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
অতিথি = √অত্ + ইথি → মূল অর্থ: ‘যার তিথি নেই’, পরিবর্তিত অর্থ: ‘মেহমান’
-
সন্দেশ → সংবাদ (মূল অর্থ) → মিষ্টান্ন (পরিবর্তিত অর্থ)
-
চিকন → চকচকে (মূল অর্থ) → সরু (পরিবর্তিত অর্থ)
-
জ্যাঠামি → জেঠার ভাব (মূল অর্থ) → চাপল্য (পরিবর্তিত অর্থ)
-
প্রবীণ → প্রকৃষ্ট বীণাবাদক (মূল অর্থ) → বয়স্ক ব্যক্তি (পরিবর্তিত অর্থ)
আরো কিছু রূঢ়ি শব্দ: বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ, বৎস, শুশ্রূষা ইত্যাদি
যৌগিক শব্দ:
যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ মূল অর্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ: গায়ক = গৈ + ণক (অক) → অর্থ: ‘গান করে যে’
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)