মূল্যবোধ কাকে বলা হয়?
A
অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যম
B
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
C
কেবল রাষ্ট্রীয় আইন
D
ব্যক্তিগত সম্পত্তি
উত্তরের বিবরণ
আধুনিক মূল্যবোধ
সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য:
-
সমাজ ক্রমশ পরিবর্তনশীল, তাই মূল্যবোধও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ আজ অর্থহীন হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, বাল্যবিবাহের প্রচলন অতীতে ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা অগ্রহণযোগ্য।
-
রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।
উদাহরণ:
-
অতীতে হিন্দু সমাজে প্রচলিত সতীদাহ, সহমরণ, বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ প্রথা আজ নেই।
-
বর্তমান আধুনিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
-
বিধবা বিবাহ প্রথা চালু
-
নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের সমান সুযোগ
-
বাল্যবিবাহ বন্ধ
-
সতীদাহ প্রথা বন্ধ
-
বিশেষ মন্তব্য:
-
মূল্যবোধ নৈর্ব্যক্তিক।
-
বর্তমানের অনেক মূল্যবোধ ভবিষ্যতে থাকবে না, নতুন মূল্যবোধের উদ্ভব হবে।
0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতির জন্য দায়ী প্রধান কারণ কী?
Created: 3 weeks ago
A
নৈতিকতার অভাব
B
অর্থনৈতিক অভাব
C
আইনের প্রয়োগের অভাব
D
অসৎ নেতৃত্ব
রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতির মূল কারণ হিসেবে নৈতিকতার অভাবকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ নৈতিকতা মানুষের চিন্তা, চরিত্র ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে, আর যখন সেটির অভাব ঘটে, তখন ব্যক্তি ও সমাজ উভয়েই নৈতিক অধঃপতনের শিকার হয়।
-
দুর্নীতি বলতে সাধারণভাবে আইন, নীতি ও ন্যায়ের বিরুদ্ধ আচরণকে বোঝায়। এটি এমন একটি কর্মকাণ্ড, যা ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতা, পদ, সুযোগ বা সম্পদকে অপব্যবহার করে।
-
দুর্নীতি প্রায়ই পেশাগত অবস্থান, সামাজিক মর্যাদা, রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক সুযোগের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
সমাজে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব সুশাসনের জন্য একটি বড় বাধা, কারণ এটি ব্যক্তির বিবেকবোধকে দুর্বল করে এবং অন্যায়কে স্বাভাবিক মনে করতে শেখায়।
-
যখন মানুষ সঠিক ও ভুলের পার্থক্য অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়, অথবা নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন তারা সহজেই দুর্নীতির পথে পরিচালিত হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, অসৎ নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক অভাব, আইনের শিথিলতা ও শাস্তির অভাব দুর্নীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখলেও, মূল উৎস হলো নৈতিকতার অভাব।
যদি মানুষের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সততা ও দায়িত্ববোধের চর্চা না থাকে, তবে দুর্নীতি সমাজে দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং সুশাসনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
0
Updated: 3 weeks ago
"সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সঙ্গে সুশীল সমাজের, সরকারের সঙ্গে শাসিত জনগণের, শাসকের সঙ্গে শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়"- উক্তিটি কার?
Created: 2 months ago
A
এরিস্টটল
B
জন স্টুয়ার্ট মিল
C
ম্যাককরনী
D
মেকিয়াভেলি
সুশাসন (GOOD GOVERNANCE)
ম্যাককরনী (Mac' Corney) বলেছেন যে, ‘সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বোঝায়।'
- মোটকথা, প্রশাসনের যদি জবাবদিহিতা (Accountability), বৈধতা (Legilimacy), স্বচ্ছতা (Transparency) থাকে, এতে যদি অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে, বাকস্বাধীনতাসহ সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুরক্ষার ব্যবস্থা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের অনুশাসন (Rule of law), আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের জবাবদিহিতা বা দায়িত্বশীলতার নীতি কার্যকর থাকে তাহলে সে শাসনকে ‘সুশাসন' (Good Governance) বলে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 2 months ago
‘শাসক যদি মহৎগুণসম্পন্ন হয় তাহলে আইন নিষ্প্রয়ােজন, আর শাসক যদি মহৎগুণসম্পন্ন না হয় তাহলে আইন অকার্যকর’-এটি কে বলেছেন?
Created: 1 month ago
A
সক্রেটিস
B
প্লেটো
C
অ্যারিস্টটল
D
বেনথাম
নীতিশাস্ত্র মূলত মানুষের আচার-আচরণ এবং ভালো-মন্দের বিচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি সমাজে নৈতিকতা ও আইনকে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করে। নৈতিকতা এবং আইন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো:
-
মানুষের আচার-আচরণের মূল্যায়ন, যা ভালো এবং মন্দ নির্ধারণ করে, তা নীতিশাস্ত্রের মূল বিষয়।
-
সমাজে সর্বজন স্বীকৃত নৈতিক আদর্শই পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
যদি কোনো দেশের প্রচলিত আইন নৈতিকতার বিরোধী হয়, তবে সেই আইন কার্যকর হয় না।
-
কারণ, কোনো রাষ্ট্রীয় আইন যদি জনগণের নৈতিক মানদণ্ডের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হয়, তখন তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সম্ভাবনা থাকে।
প্লেটো তাঁর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “যদি শাসক ন্যায়বান হন, তাহলে আইন প্রয়োজন হয় না; আর যদি শাসক দুর্নীতিপরায়ণ হন, তাহলে আইনও কার্যকর হয় না।”
0
Updated: 1 month ago