"সতীদাহ প্রথা বন্ধ করা" কোন ধরনের মূল্যবোধের উদাহরণ?
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
ধর্মীয় মূল্যবোধ
D
আধুনিক মূল্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
আধুনিক মূল্যবোধ
সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য:
-
সমাজ ক্রমশ পরিবর্তনশীল, তাই মূল্যবোধও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ আজ অর্থহীন হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, বাল্যবিবাহের প্রচলন অতীতে ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা অগ্রহণযোগ্য।
-
রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।
উদাহরণ:
-
অতীতে হিন্দু সমাজে প্রচলিত সতীদাহ, সহমরণ, বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ প্রথা আজ নেই।
-
বর্তমান আধুনিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
-
বিধবা বিবাহ প্রথা চালু
-
নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের সমান সুযোগ
-
বাল্যবিবাহ বন্ধ
-
সতীদাহ প্রথা বন্ধ
-
বিশেষ মন্তব্য:
-
মূল্যবোধ নৈর্ব্যক্তিক।
-
বর্তমানের অনেক মূল্যবোধ ভবিষ্যতে থাকবে না, নতুন মূল্যবোধের উদ্ভব হবে।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি -
Created: 1 month ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমাজ ও রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধের ধারণা বেশি উন্নত, সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত উন্নত ও প্রগতিশীল হয়।
-
জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি জাতির রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর ওপর ভিত্তি করে জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।
-
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে কর্মঠ ও পরিশ্রমী করে এবং দ্রুত উন্নতি অর্জনের পথ সুগম করে।
-
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে: এটি নাগরিকদের মধ্যে নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে এবং দেশের মঙ্গলের জন্য কর্তব্য পালন করার মনোভাব জাগ্রত করে।
-
সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যেকের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা তৈরি করে, যার ফলে সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য দৃঢ় হয়।
-
নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে: এটি নাগরিকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ও পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
-
উদারতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, সহিষ্ণুতা, সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধী মত প্রচার ও নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এর ফলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণ: নাগরিক ও সরকার উভয়েই দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। সরকার তাদের কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করে এবং আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর বা কৈফিয়ত প্রদান করে।
-
শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করে, যা রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নতি ত্বরান্বিত করে।
-
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন: এটি নির্বাচনি রায় ও জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সরকারকে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন ও পরিবর্তনের মানসিকতা তৈরি করে।
0
Updated: 1 month ago
কোন মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যাপক ব্যর্থতার ফসল হিসেবে সুশাসনের ধারণার উদ্ভব ঘটে?
Created: 1 month ago
A
আফ্রিকা মহাদেশে
B
ইউরোপ মহাদেশে
C
এশিয়া মহাদেশে
D
উত্তর আমেরিকা মহাদেশে
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা এবং এটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত। সুশাসন হলো ন্যায়নীতি অনুসারে দেশ বা রাষ্ট্রকে উত্তমভাবে, সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে শাসন করা। অন্যভাবে বলা যায়, এটি রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও শাসিত জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝায়। সুশাসন অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা যা আইনের শাসনকে নিশ্চিত করে এবং সরকারের উচ্চতর দক্ষতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের উদ্ভব: মূলত ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতার পর ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক সুশাসনের ধারণা উদ্ভব করে।
-
এটি বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে পরিচিত।
-
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সুশাসন সরকার ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা উভয়ের জন্যই লাভজনক হওয়ায় এটিকে একটি ‘Win-Win Game’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে -
Created: 1 month ago
A
দুর্নীতি দূর হয়
B
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
C
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
D
কোনোটিই নয়
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের গুরুত্ব
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুঁজি বিনিয়োগ ও নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের উন্নয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় এবং বেকারত্ব কমায়। যেহেতু অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সরাসরি সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মোজাম্মেল হক
0
Updated: 1 month ago