সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য কোনটি?
A
সামাজিক দায়িত্ব পালন
B
জাতীয় সম্পদ রক্ষা
C
আইন মান্য করা
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
মূল ধারণা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অধিকার ভোগের সাথে নাগরিকের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও সংযুক্ত থাকে।
-
নাগরিক যে কোনো অধিকার ভোগ করতে চাইলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তব্য পালন করতে হয়।
নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা
-
আইন মান্য করা
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
-
নিয়মিত কর প্রদান
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করা
-
সচেতন ও সজাগ থাকা
-
সংবিধান মেনে চলা
-
সুশাসনের প্রতি আগ্রহ রাখা
-
রাষ্ট্রের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন
-
সন্তানদের শিক্ষাদান করা
-
রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ
-
উদার ও প্রগতিশীল দলের প্রতি সমর্থন

0
Updated: 11 hours ago
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (Millennium Development Goals) অর্জনে সুশাসনের কোন দিকটির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
সুশাসনের সামাজিক দিক
B
সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
C
সুশাসনের মূল্যবোধের দিক
D
সুশাসনের গণতান্ত্রিক দিক
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDG) ও সুশাসনের সামাজিক দিক
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG) এর পূর্ণরূপ Millennium Development Goals। এগুলো মূলত বিশ্বে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০০ সালে নির্ধারণ করা হয়।
-
৬–৮ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন সম্মেলনে (UN Millennium Summit) ৮টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং তা অর্জনের জন্য ১৫ বছরের সময়সীমা দেওয়া হয়।
-
এই লক্ষ্যগুলো হলো:
-
চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল
-
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
-
লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন
-
শিশু মৃত্যুহার হ্রাস
-
মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি
-
এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ
-
পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ
-
উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গঠন
-
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সুশাসনের গুরুত্ব
-
সুশাসন ও MDG অর্জনের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে।
-
এখানে সামাজিক দিক বলতে বোঝানো হয় জনমত গঠন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি প্রণয়ন, এবং সামাজিক জবাবদিহি।
-
এছাড়াও আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সঠিকভাবে বজায় রাখাও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূলত, সুশাসনের সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক দিকের সমন্বয় MDG অর্জনের জন্য প্রয়োজন।
-
উপসংহার:
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য সফল করতে সুশাসনের সামাজিক দিককে প্রাধান্য দিতে হবে। সরাসরি বলা না হলেও, এটি MDG অর্জনের মূল ভিত্তি।
উৎস: জাতিসংঘ (United Nations)

0
Updated: 3 weeks ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত কী?
Created: 11 hours ago
A
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
B
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
C
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
D
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
সুশাসনের পূর্বশর্ত
যেকোনো দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো সুশাসন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু পূর্বশর্ত প্রয়োজন।
সুশাসনের পূর্বশর্তগুলো হলো:
-
আইনের শাসন
-
স্বচ্ছতা
-
জবাবদিহিতা
-
গ্রহণযোগ্যতা
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা / স্বাধীন প্রচারমাধ্যম
-
দায়বদ্ধতা
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা
-
অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ততা
-
বাকস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
বৈধতা

0
Updated: 11 hours ago
নিচের কোনটি সুশাসনের উপাদান নয়?
Created: 1 week ago
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
নৈতিক শাসন
D
জবাবদিহিতা
সুশাসনের উপাদান
সাধারণভাবে সুশাসন বলতে এমন এক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যা একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে। একই সঙ্গে সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সমাজে ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশাসনের ভিত্তি হলো নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
সুশাসনের প্রধান উপাদানগুলো হলো
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন গণমাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজের ভূমিকা
-
দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি – মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago