"সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা, অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা" কোন ধরনের মূল্যবোধ?
A
নৈতিক মূল্যবোধ
B
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
C
সামাজিক মূল্যবোধ
D
ধর্মীয় মূল্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
নৈতিক মূল্যবোধ
সংজ্ঞা:
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেই মনোভাব ও আচরণ যা মানুষের মধ্যে নীতি, উচিত-অনুচিত বোধ এবং কল্যাণকর কাজ করার চেতনা জন্ম দেয়। শিশু প্রথমে এটি পরিবার থেকে শিখে।
উদাহরণ:
-
সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা
-
অন্যকে বিরত রাখতে পরামর্শ দেওয়া
-
দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
-
অসহায় ও ঋণগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করা

0
Updated: 11 hours ago
মূল্যবোধ দৃঢ় হয়-
Created: 5 days ago
A
শিক্ষার মাধ্যমে
B
সুশাসনের মাধ্যমে
C
ধর্মের মাধ্যমে
D
গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতি, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। মূল্যবোধ মূলত মানুষের আচরণের মাধ্যমে বিকশিত হয় এবং শিক্ষার মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করা যায়। জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে, যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষার ধরণ ও প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে।
শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মূল্যবোধ অর্জন, যা জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়। মানুষের শিক্ষাজীবনকে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের সর্বোত্তম সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মূল্যবোধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচরণের মাধ্যমে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
-
পরিবার হলো মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক উৎস।
-
বিদ্যালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান উৎস।
-
মানুষের জন্মকাল থেকে শুরু হওয়া মূল্যবোধ শিক্ষা আমৃত্যু চলতে থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরন ও প্রভাব পরিবর্তিত হয়।
-
শিক্ষাজীবন ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 5 days ago
'সুশাসন' শব্দটি সর্বপ্রথম কোন সংস্থা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে?
Created: 3 weeks ago
A
জাতিসংঘ
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
সুশাসন (Good Governance) এবং বিশ্বব্যাংক
-
সুশাসন শব্দটি প্রথমবারের মতো ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি দেশ তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার প্রয়োগ করে।
-
বিশ্বব্যাংক একটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথমবার উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে সুশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে।
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘শাসন প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন’ রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে যে, অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন অবহেলা বা ব্যর্থতার পেছনে মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন : একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী : প্রথমপত্র, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 3 weeks ago
নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী?
Created: 3 weeks ago
A
মানুষের আচরণের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান
B
মানুষের জীবনের সফলতার দিকগুলো আলোচনা
C
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ ব্যাখ্যা
D
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণের আলোচনা ও মূল্যায়ন
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “ঐচ্ছিক আচরণ” বা স্বেচ্ছায় করা আচরণ। এটি মূলত মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণের বিজ্ঞান।
সহজভাবে বলতে গেলে, নীতিবিদ্যা হলো সেই বিজ্ঞান যা মানুষের আচরণের রীতিনীতি, ভালো-মন্দ, সঠিক-অসঠিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে।
আলোচ্য বিষয়:
নীতিবিদ্যার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করা। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেইসব কাজ বোঝায়, যা মানুষ স্বপ্রণোদিতভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে করে।
উদাহরণস্বরূপ:
উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যা সংজ্ঞায়িত করে বলেন:
"নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।"
নীতিবিদ্যার মূল চারটি ধারা:
১. পরানীতিবিদ্যা (Meta-ethics): নৈতিক ধারণা ও নীতির তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
২. ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা (Applied ethics): বাস্তব জীবনের নৈতিক সমস্যা সমাধান।
৩. বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা (Descriptive ethics): সমাজে মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ ও বর্ণনা।
৪. মানমূলক নীতিবিদ্যা (Normative ethics): কোন আচরণ সঠিক বা ভুল তা নির্ধারণ।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Encyclopaedia Britannica.

0
Updated: 3 weeks ago