সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের করণীয় কোনটি?
A
আনুগত্য প্রদর্শন
B
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
C
নিয়মিত কর প্রদান করা
D
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন
সরকারের করণীয়:
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে:
-
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করা।
-
দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা।
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
নাগরিকের করণীয়:
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের করণীয়:
-
আইন মান্য করা।
-
আনুগত্য প্রদর্শন করা।
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা।
-
নিয়মিত কর প্রদান করা।

0
Updated: 11 hours ago
সুশাসনের মূল ভিত্তি কী?
Created: 1 day ago
A
মূল্যবােধ
B
আইনের শাসন
C
গণতন্ত্র
D
আমলাতন্ত্র
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথ ও কার্যকর শাসন যা সমাজে সুব্যবস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি সামাজিক ধারণা এবং এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
আইনের শাসন ছাড়া কোনো সমাজে স্থায়ীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা যা সমাজে নিয়ম ও ন্যায় নিশ্চিত করে।
-
এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশ্যক।
আইনের শাসন বলতে বোঝায় এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান, অর্থাৎ আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়। এটি সমাজে ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করে। আইনের শাসন না থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ও নৈতিক হ্রাস দেখা দেয়।
নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার কেবল আইনের শাসনের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়। সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করে নাগরিকদের সমতা।
-
সমাজ থেকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর হয়।
-
স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকার আইনের শাসনের মাধ্যমে বলবৎ করা যায়।
-
আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী-দরিদ্র, শক্তিশালী-দুর্বল ব্যবধান প্রকট হয়।
-
সহমর্মিতা, ন্যায়, নীতি ও আদর্শের ক্ষয় ঘটে।
-
সভ্য সমাজের মূল মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।

0
Updated: 1 day ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 3 weeks ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি সুশাসনের মূলনীতি?
Created: 11 hours ago
A
কর্তৃত্ববাদী শাসন
B
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
C
স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব
D
কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
সুশাসন
-
সু-শাসন হলো এক ধরণের শাসন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয়।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
সুশাসনের ধারণা সর্বপ্রথম প্রদান করে বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম সুশাসনের ধারণা ব্যবহার করে।
-
জাতিসংঘের সংস্থা UNDP সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
সুশাসন দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন।
-
সুশাসনের মূলনীতি হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

0
Updated: 11 hours ago