সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরণ, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। - কে বলেন?
A
এফ. ই. মেরিল
B
ম্যাক্স ভেবার
C
এমিল দুর্খেইম
D
হ্যারল্ড লাসওয়েল
উত্তরের বিবরণ
সামাজিক মূল্যবোধ
-
সমাজবিজ্ঞানী এফ. ই. মেরিল (F. E. Meril) অনুযায়ী,
"সামাজিক মূল্যবোধ হলো বিশ্বাসের এমন প্রকৃতি বা ধরণ, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণ সংরক্ষণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।"
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, যা মানুষের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি:
-
ন্যায়পরায়ণতা
-
সততা
-
শিষ্টাচার
-
-
উদাহরণ:
-
বড়দের সম্মান করা
-
সহনশীলতা
-
দানশীল হওয়া
-
আতিথেয়তা ইত্যাদি
-
0
Updated: 1 month ago
লর্ড ব্রাইস-এর মতে, একজন সুনাগরিকের মধ্যে কোন গুণ থাকা আবশ্যক?
Created: 4 weeks ago
A
বুদ্ধি
B
বিবেক
C
আত্মসংযম
D
উল্লিখিত সব
সুনাগরিক
সংজ্ঞা:
-
“সু” অর্থ হলো ভালো বা আদর্শ। সুতরাং সুনাগরিক বলতে বোঝায় এমন একজন নাগরিক যিনি আদর্শ নাগরিকের বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন।
-
যেকোনো রাষ্ট্রের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য সুনাগরিক অপরিহার্য। তবে সুনাগরিক গড়ে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্বও।
-
শুধুমাত্র নাগরিক হওয়া যথেষ্ট নয়; রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সুনাগরিক হিসেবে পরিচিতি পান।
গুণাবলী (লর্ড ব্রাইস অনুসারে):
সুনাগরিক হওয়ার জন্য তিনটি মূল গুণ থাকা জরুরি: বুদ্ধি, আত্মসংযম, এবং বিবেক।
১. বুদ্ধি
-
ভালো চিন্তা-ভাবনা এবং যুক্তির দক্ষতা থাকা।
-
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিবেচনা করা।
২. আত্মসংযম
-
ব্যক্তিগত আবেগ বা তাড়না নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা।
-
সমাজে স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমন্বয় বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. বিবেক
-
নৈতিক মূল্যবোধ ও সঠিক-ভুলের বিচার করার ক্ষমতা।
-
সমাজের কল্যাণে কাজ করতে এবং অন্যদের ক্ষতি না করতে সাহায্য করে।
0
Updated: 4 weeks ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 2 months ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
C
সামাজিক উন্নয়ন
D
সবগুলোই
সুশাসনের ধারণা ও এর পূর্বশর্ত
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শাসন ও সুশাসন:
-
শাসন বলতে বোঝায় ক্ষমতার প্রয়োগ, জনগণের চাহিদা-দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া এবং একটি জনসমষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়া।
-
এটি কোনো নতুন বিষয় নয়; শাসন ধারণা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই বিদ্যমান।
-
বিশ্বজুড়ে শাসনের অর্থ ও সীমা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন কীভাবে বোঝা যায়
-
এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যক্রম নয়, বরং জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।
-
সুশাসনের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ রক্ষা পায়।
-
সুশাসন বহুমাত্রিক ধারণা; সাধারণত এটি চারটি অংশে বিভক্ত হয়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যায়, যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন এবং যৌথ শাসন। আজকের দিনে সুশাসনকে দেশের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 2 months ago
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (Millennium Development Goals) অর্জনে সুশাসনের কোন দিকটির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
সুশাসনের সামাজিক দিক
B
সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
C
সুশাসনের মূল্যবোধের দিক
D
সুশাসনের গণতান্ত্রিক দিক
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDG) ও সুশাসনের সামাজিক দিক
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG) এর পূর্ণরূপ Millennium Development Goals। এগুলো মূলত বিশ্বে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০০ সালে নির্ধারণ করা হয়।
-
৬–৮ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন সম্মেলনে (UN Millennium Summit) ৮টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং তা অর্জনের জন্য ১৫ বছরের সময়সীমা দেওয়া হয়।
-
এই লক্ষ্যগুলো হলো:
-
চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল
-
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
-
লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন
-
শিশু মৃত্যুহার হ্রাস
-
মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি
-
এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ
-
পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ
-
উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গঠন
-
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সুশাসনের গুরুত্ব
-
সুশাসন ও MDG অর্জনের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে।
-
এখানে সামাজিক দিক বলতে বোঝানো হয় জনমত গঠন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি প্রণয়ন, এবং সামাজিক জবাবদিহি।
-
এছাড়াও আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সঠিকভাবে বজায় রাখাও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূলত, সুশাসনের সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক দিকের সমন্বয় MDG অর্জনের জন্য প্রয়োজন।
-
উপসংহার:
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য সফল করতে সুশাসনের সামাজিক দিককে প্রাধান্য দিতে হবে। সরাসরি বলা না হলেও, এটি MDG অর্জনের মূল ভিত্তি।
উৎস: জাতিসংঘ (United Nations)
0
Updated: 2 months ago