কোনটিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ বলা হয়?
A
নৈতিক মূল্যবোধ
B
জনপ্রশাসন
C
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
D
গণতন্ত্র
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন ও গণতন্ত্র
-
সুশাসনের ধারণা:
-
'Governance' বা গভর্নেন্স একটি বহুমাত্রিক ধারণা।
-
বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপট থেকে গভর্নেন্স শব্দটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গভর্নেন্সকে সাধারণত শাসনের ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হয়।
-
-
গণতন্ত্র:
-
সুশাসনের জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অপরিহার্য।
-
গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ।
-
সুশাসনের জন্য আইনের শাসন প্রয়োজন।
-
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
জি. বিলন, OECD ও UNDP সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুশাসনের কিছু আদর্শ ও কার্যকরী বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
-
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
-
গণতন্ত্র
-
অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বাধীন বিচার বিভাগ ইত্যাদি
-

0
Updated: 11 hours ago
কোন নৈতিক মানদণ্ডটি সর্বোচ্চ সুখের উপর গুরুত্ব প্রদান করে?
Created: 1 day ago
A
আত্মস্বার্থবাদ
B
পরার্থবাদ
C
পূর্ণতাবাদ
D
উপযােগবাদ
উপযোগবাদ একটি দার্শনিক মতবাদ যা নৈতিকতার মান হিসেবে সুখকে কেন্দ্র করে। এই দর্শনের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে একটি কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে তা কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করতে সক্ষম তার উপর।
জন স্টুয়ার্ট মিলের ভাষায় উপযোগবাদ হলো "একটি বিশ্বাস যা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে উপযোগিতা বা সর্বোচ্চ আনন্দের নীতিকে গ্রহণ করে এবং মনে করে যে কার্যাবলী যথার্থ হয় আনন্দকে উৎসাহিত করার প্রবণতার অনুপাতে।"
উপযোগবাদীরা নিজেদেরকে প্রায়শই সুখবাদী বা উপযোগবাদী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন, কারণ তারা বিশ্বাস করতেন যে নৈতিকতা এবং কাজের মান নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো মানুষের সুখ।
-
উপযোগবাদের মূল নীতি: আমাদের কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রথম প্রবক্তা: উপযোগবাদের প্রাথমিক ধারণা দেন হাচিসন, তবে এর প্রকৃত প্রবক্তা হলেন জেরেমি বেন্থাম এবং জে এস মিল।
-
বেন্থামের অবদান: তিনি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সুখের ধারণা দেন এবং এই সুখকে পরিমাণগতভাবে নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন।
-
মিলের ব্যাখ্যা: নৈতিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপযোগিতা বা আনন্দকে কেন্দ্র করে কাজের যথার্থতা বিচার করা হয়।
-
মূল বক্তব্য: উপযোগবাদ অনুসারে নৈতিকতার ভিত্তি হলো সুখ, এবং সুখের মাধ্যমে ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য নিরূপিত হয়।
-
লক্ষ্য: সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ সুখ নিশ্চিত করা।

0
Updated: 1 day ago
সভ্যতার অন্যতম প্রতিচ্ছবি হলাে -
Created: 5 days ago
A
সুশাসন
B
রাষ্ট্র
C
নৈতিকতা
D
সমাজ
সভ্যতা হলো উন্নত জীবনধারা এবং সংস্কৃতির উচ্চতর রূপ, যা বিভিন্ন সমাজে বিভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। এটি কেবল সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ নয়, বরং প্রযুক্তি, বস্তুগত সংস্কৃতি এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সমষ্টিও বর্ণনা করে। সভ্যতার ধারণা বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীর মতে ভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে:
-
ম্যাকাইভার ও পেজের মতে, আমরা যা তা হলো সংস্কৃতি, এবং আমরা যা ব্যবহার করি তা হলো সভ্যতা।
-
স্কটের মতে, সভ্যতা একটি উচ্চতর জটিল বিষয়, যা সংস্কৃতির সাথে আপেক্ষিকভাবে তুলনা করা হয়।
-
বটোমোরের মতে, সভ্যতা হলো নির্দিষ্ট মানবগোষ্ঠীর অভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহের সমন্বয়।
-
জেরি ও জেরি অনুযায়ী, সভ্যতা সংস্কৃতির উন্নত রূপ, যেমন: কেন্দ্রীয় সরকার, শিল্পকলা ও শিক্ষার উন্নয়ন, নীতি-নৈতিকতার সমন্বিত রূপ, যা নগর এবং বৃহত্তর সমাজের সাথে সম্পর্কিত।
সব মিলিয়ে, সভ্যতা হলো সংস্কৃতির উন্নত রূপ এবং সমাজের অগ্রগতি ও জটিলতার প্রতিফলন। সমাজের বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা সভ্যতার প্রকৃতি ও গুরুত্ব সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারি।

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোন রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে?
Created: 1 week ago
A
শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
B
শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
C
শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
D
শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
‘সুশাসন’ বা Good Governance ধারণাটি প্রথম আলোচনায় আনে বিশ্বব্যাংক।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো সুশাসন শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সেখানে বলা হয়— উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনুন্নয়নের মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে একটি দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" রিপোর্টে বলা হয়—
“Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
অর্থাৎ, একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতা প্রয়োগের ধরনই হলো Governance বা শাসন প্রক্রিয়া। -
আবার ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক গভর্নেন্সকে ব্যাখ্যা করে—
“সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের প্রক্রিয়াই হলো Governance।” -
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায় যে, সুশাসন মূলত চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago