মানুষের কোন প্রকার ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত?
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনিচ্ছাকৃত ক্রিয়া
C
অনৈতিক ক্রিয়া
D
মিশ্র ক্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
ঐচ্ছিক ক্রিয়া (Voluntary Action)
-
নীতিবিদ্যায় মানুষের আচরণ বলতে মূলত মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়া বোঝানো হয়।
-
মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণ করাই নীতিবিদ্যার কাজ।
-
নীতিবিদ্যা শুধুমাত্র মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়া বিচার করে।
-
নীতিবিদ্যায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ:
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার স্বরূপ
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার ধাপ
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার সাথে অনৈচ্ছিক ক্রিয়ার পার্থক্য
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার উৎস, উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায়
-
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে -
Created: 1 month ago
A
ভালো ও মন্দ
B
ন্যায় ও অন্যায়
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলোই
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Value।
-
যেসব চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প ও আদর্শ মানুষের আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে, তাদের সমষ্টিকেই মূল্যবোধ বলা হয়।
-
মূল্যবোধ দ্বারা ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা, সততা, সৌজন্যবোধ, শিষ্টাচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি নির্ধারিত হয়।
-
আমাদের চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়।
-
স্বার্থপরতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি হলো চিরন্তন মূল্যবোধের পরিপন্থী।
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো -
Created: 1 month ago
A
দারিদ্র বিমোচন
B
মৌলিক অধিকার রক্ষা
C
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
D
নারীদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
জাতিসংঘ ও সুশাসন
জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে “Governance and Sustainable Development” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সুশাসনের ধারণা এবং এর গুরুত্ব জাতিসংঘের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের মতে, সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা উন্নয়ন করা।
কারণ:
-
যখন মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়, তখন মানুষ তাদের অধিকার ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে পারে।
-
একই সময়ে, নারীর উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
-
এর ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটে এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়।
জাতিসংঘ সুশাসন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৮টি মূল উপাদান চিহ্নিত করেছে:
-
অংশগ্রহণ
-
মতামতের প্রতি মনোযোগ
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
দায়বদ্ধতা
-
কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা
-
ন্যাযতা
-
আইনের শাসন
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
"শাসক যদি ন্যায়বান হন, তাহলে আইন নিষ্প্রয়োজন আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হন, তাহলে আইন নিরর্থক"—উক্তিটি কার?
Created: 1 month ago
A
সক্রেটিস
B
অ্যারিস্টটল
C
কনফুসিয়াস
D
প্লেটো
বিখ্যাত দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নৈতিক ও শাসন সম্পর্কিত উক্তি সমাজ ও ব্যক্তি আচরণের মূলনীতি বোঝাতে সাহায্য করে।
-
প্লেটো (গ্রিক দার্শনিক): ‘‘শাসক যদি ন্যায়বান হয় তাহলে আইন অনাবশ্যক, আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হয় তাহলে আইন নিরর্থক।’’
-
লর্ড ব্রাইস (রাষ্ট্রবিজ্ঞানী): যে নাগরিকের মধ্যে বুদ্ধি, বিবেক এবং আত্মসংযম থাকবে এবং এসবের যথাযথ প্রয়োগ হবে, তাকে সুনাগরিক বলা যায়।
-
এরিস্টটল: সততা হলো মধ্যপন্থা নির্বাচন করার অভ্যাস, যা নিয়ন্ত্রিত বিচারবুদ্ধি ও ব্যবহারিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা নির্ধারিত।
-
সক্রেটিস: কোনো ব্যক্তি জ্ঞানসম্পন্ন না হলে জ্ঞাতসারে অন্যায় করতে পারে না, অর্থাৎ জ্ঞানই সততার মূল।
0
Updated: 1 month ago