মানুষের কোন প্রকার ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত?
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনিচ্ছাকৃত ক্রিয়া
C
অনৈতিক ক্রিয়া
D
মিশ্র ক্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
ঐচ্ছিক ক্রিয়া (Voluntary Action)
-
নীতিবিদ্যায় মানুষের আচরণ বলতে মূলত মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়া বোঝানো হয়।
-
মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণ করাই নীতিবিদ্যার কাজ।
-
নীতিবিদ্যা শুধুমাত্র মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়া বিচার করে।
-
নীতিবিদ্যায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ:
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার স্বরূপ
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার ধাপ
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার সাথে অনৈচ্ছিক ক্রিয়ার পার্থক্য
-
ঐচ্ছিক ক্রিয়ার উৎস, উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায়
-

0
Updated: 11 hours ago
প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায় - এগুলোকে সদ্গুণ হিসেবে উল্লেখ করেন কে?
Created: 11 hours ago
A
এরিস্টটল
B
সক্রেটিস
C
প্লেটো
D
জন লক
সদ্গুণ
-
ইংরেজিতে যাকে Virtue বলা হয়, বাংলায় তাকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
মানুষের চরিত্রের যে সব লক্ষণগুলো তার চরিত্রের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে, তাদেরকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
প্লেটো চারটি প্রধান সদ্গুণ (Cardinal Virtues) উল্লেখ করেছেন:
-
প্রজ্ঞা
-
সাহস
-
আত্মনিয়ন্ত্রণ
-
ন্যায়
-
-
এদের মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ অত্যাবশ্যকীয় সদ্গুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
অ্যারিস্টটলের মতে, এই সদ্গুণগুলো অভ্যাসের মাধ্যমে অর্জিত হয় এবং কম-বেশি স্থায়ী মেজাজের রূপ নেয়।
-
নৈতিক সদ্গুণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো সময় এবং সমাজভেদে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ভিন্ন হতে পারে।
-
অ্যারিস্টটল তাঁর বিখ্যাত পুস্তক নিকোমেকীয়ান এথিক্স এ সদ্গুণ উদ্ভবের কারণ হিসেবে জীবনে মধ্যপথ অবলম্বনের ওপর জোর দেন।

0
Updated: 11 hours ago
নিচের কোনটি সুশাসনের মূলনীতি?
Created: 11 hours ago
A
কর্তৃত্ববাদী শাসন
B
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
C
স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব
D
কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
সুশাসন
-
সু-শাসন হলো এক ধরণের শাসন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয়।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
সুশাসনের ধারণা সর্বপ্রথম প্রদান করে বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম সুশাসনের ধারণা ব্যবহার করে।
-
জাতিসংঘের সংস্থা UNDP সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
সুশাসন দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন।
-
সুশাসনের মূলনীতি হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

0
Updated: 11 hours ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 3 weeks ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago