উদারতাবাদকে কোন মূল্যবোধের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
C
নৈতিক মূল্যবোধ
D
কোনটি নয়
উত্তরের বিবরণ
উদারতাবাদ
-
উদারতাবাদ বলতে সেই মতবাদকে বোঝায়, যা ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করে।
-
এটি ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায় হিসেবে বিবেচনা করে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলীকে সীমিত করতে চায়।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো উদারতাবাদ।
-
এর ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধা, সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ, বিরোধী মত প্রচার ও প্রসারের সুযোগ প্রদান এবং নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
-
এর মাধ্যমে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।

0
Updated: 11 hours ago
বাংলাদেশে 'নব-নৈতিকতা'র প্রবর্তক হলেন -
Created: 1 week ago
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আবদুল মতীন
আরজ আলী মাতুব্বর
-
আরজ আলী মাতুব্বরকে বাংলাদেশের ‘নব-নৈতিকতা’ বা নতুন নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত চিন্তাবিদ ও যুক্তিবাদী দার্শনিক, যিনি আনুষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকলেও গভীর দার্শনিক চিন্তাভাবনা করতেন।
-
মাতুব্বর বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী, এবং মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জড় জগত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তোলেন।
-
তিনি সবরকম অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোবল ও যুক্তি নিয়ে অবস্থান নেন।
-
তার চিন্তাভাবনা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের নামে প্রচলিত অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল।
-
মাতুব্বর সত্য, ন্যায় এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন নৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন।
-
তিনি দার্শনিক ধারার মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বের কথাও বলেছেন।
-
বাংলাদেশের আরেকজন দার্শনিক জি.সি. দেব বস্তুবাদ ও অধ্যাত্মবাদের মিশ্রণে সমন্বয়ী দর্শনের প্রচার করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সত্যের সন্ধান (১৯৭৩)
-
সৃষ্টির রহস্য (১৯৭৭)
-
অনুমান (১৯৮৩)
-
মুক্তমন (১৯৮৮)
-
এছাড়াও কিছু অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি সম্প্রতি আরজ আলী মাতুববর রচনাবলি নামে প্রকাশিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে -
Created: 1 week ago
A
দুর্নীতি দূর হয়
B
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
C
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
D
কোনোটিই নয়
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের গুরুত্ব
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুঁজি বিনিয়োগ ও নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের উন্নয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় এবং বেকারত্ব কমায়। যেহেতু অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সরাসরি সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
সুশাসন দ্বারা শাসনের কোন দিকটি বুঝায়?
Created: 11 hours ago
A
বিপরীত দিক
B
পরিমানগত দিক
C
গুণগত দিক
D
কোনটি নয়
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন দ্বারা শাসনের গুণগত দিক বোঝানো হয়।
-
অর্থ: রাষ্ট্র, সমাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।
-
সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক ও আপেক্ষিক।
-
অর্থ: নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
উদ্ভাবক: বিশ্বব্যাংক, যা ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয় ব্যবহার করে।
-
সুশাসন সব সময় সকলের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করে।
-
চিহ্নিতকরণে জোর:
-
সরকারি খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা
-
উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
অবাধ তথ্য প্রবাহ
-

0
Updated: 11 hours ago