প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায় - এগুলোকে সদ্গুণ হিসেবে উল্লেখ করেন কে?
A
এরিস্টটল
B
সক্রেটিস
C
প্লেটো
D
জন লক
উত্তরের বিবরণ
সদ্গুণ
-
ইংরেজিতে যাকে Virtue বলা হয়, বাংলায় তাকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
মানুষের চরিত্রের যে সব লক্ষণগুলো তার চরিত্রের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে, তাদেরকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
প্লেটো চারটি প্রধান সদ্গুণ (Cardinal Virtues) উল্লেখ করেছেন:
-
প্রজ্ঞা
-
সাহস
-
আত্মনিয়ন্ত্রণ
-
ন্যায়
-
-
এদের মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ অত্যাবশ্যকীয় সদ্গুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
অ্যারিস্টটলের মতে, এই সদ্গুণগুলো অভ্যাসের মাধ্যমে অর্জিত হয় এবং কম-বেশি স্থায়ী মেজাজের রূপ নেয়।
-
নৈতিক সদ্গুণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো সময় এবং সমাজভেদে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ভিন্ন হতে পারে।
-
অ্যারিস্টটল তাঁর বিখ্যাত পুস্তক নিকোমেকীয়ান এথিক্স এ সদ্গুণ উদ্ভবের কারণ হিসেবে জীবনে মধ্যপথ অবলম্বনের ওপর জোর দেন।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের মূল ভিত্তি কী?
Created: 1 month ago
A
মূল্যবােধ
B
আইনের শাসন
C
গণতন্ত্র
D
আমলাতন্ত্র
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথ ও কার্যকর শাসন যা সমাজে সুব্যবস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি সামাজিক ধারণা এবং এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
আইনের শাসন ছাড়া কোনো সমাজে স্থায়ীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা যা সমাজে নিয়ম ও ন্যায় নিশ্চিত করে।
-
এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশ্যক।
আইনের শাসন বলতে বোঝায় এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান, অর্থাৎ আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়। এটি সমাজে ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করে। আইনের শাসন না থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ও নৈতিক হ্রাস দেখা দেয়।
নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার কেবল আইনের শাসনের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়। সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করে নাগরিকদের সমতা।
-
সমাজ থেকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর হয়।
-
স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকার আইনের শাসনের মাধ্যমে বলবৎ করা যায়।
-
আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী-দরিদ্র, শক্তিশালী-দুর্বল ব্যবধান প্রকট হয়।
-
সহমর্মিতা, ন্যায়, নীতি ও আদর্শের ক্ষয় ঘটে।
-
সভ্য সমাজের মূল মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।
0
Updated: 1 month ago
সামাজিক অবক্ষয় বলতে নিম্নের কোনটি বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
অর্থনৈতিক উন্নতির অভাব
B
মূল্যবোধের অনুপস্থিতি
C
রাজনৈতিক অস্থিরতা
D
শিক্ষার অভাব
সামাজিক অবক্ষয় হলো সামাজিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি বা হ্রাস, যা সমাজের নিয়ম, রীতি ও অনুমোদিত আচরণের অবনতি নির্দেশ করে। এটি সমাজে নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং সামাজিক সহমর্মিতার অভাব সৃষ্টি করে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ এবং বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়।
-
এই মূল্যবোধের অবনতি বা দুর্বলতাকেই সামাজিক অবক্ষয় বলা হয়।
-
আইনের শাসনের দুর্বলতা, মানুষের সহনশীলতার অভাব এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ।
-
ধর্মীয় অপব্যাখ্যা মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করতে পারে; উদাহরণস্বরূপ, মনগড়া ফতোয়াজারির মাধ্যমে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা।
-
তাই আইনের শাসন সামাজিক অবক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক মাপকাঠি
-
যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন
-
নৈতিক প্রাধান্য
-
বিভিন্নতা
-
আপেক্ষিকতা ও পরিবর্তনশীলতা
-
নৈর্ব্যক্তিকতা
-
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন হচ্ছে এমন এক শাসন ব্যবস্থা যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে -
Created: 2 months ago
A
সুসম্পর্ক গড়ে তোলে
B
আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে
C
শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলে
D
কোনোটিই নয়
সুশাসন (Good Governance)
সুশাসন বলতে এমন একটি শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায় যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ম্যাককরনী (Mac’ Corney) এর মতে, “সুশাসন হলো রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝানো।”
সংক্ষেপে বলা যায়, প্রশাসনে যদি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো কার্যকর থাকে, তবে সেই শাসনকে সুশাসন বলা যায়:
-
প্রশাসনের জবাবদিহিতা (Accountability)
-
প্রশাসনের বৈধতা (Legitimacy)
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ
-
বাকস্বাধীনতা ও সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন (Rule of Law)
-
আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা
যে শাসন ব্যবস্থায় এ সব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, সেটাই হলো সত্যিকার অর্থে সুশাসন।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago