কোনটির মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়?
A
শিক্ষা
B
অর্থনীতি
C
আইন প্রয়োগ
D
রাজনীতি
উত্তরের বিবরণ
শিক্ষা এবং মূল্যবোধ
-
জ্ঞানার্জন বা শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মূল্যবোধের প্রসার ঘটে এবং মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা, ন্যায়নীতি এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে।
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটে, যা হলো মূল্যবোধ শিক্ষা।
-
মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি; যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।
-
এটি মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে।
-
একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে মূল্যবোধ কাজ করে।

0
Updated: 11 hours ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 3 weeks ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোন রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে?
Created: 1 week ago
A
শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
B
শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
C
শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
D
শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
‘সুশাসন’ বা Good Governance ধারণাটি প্রথম আলোচনায় আনে বিশ্বব্যাংক।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো সুশাসন শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সেখানে বলা হয়— উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনুন্নয়নের মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে একটি দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" রিপোর্টে বলা হয়—
“Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
অর্থাৎ, একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতা প্রয়োগের ধরনই হলো Governance বা শাসন প্রক্রিয়া। -
আবার ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক গভর্নেন্সকে ব্যাখ্যা করে—
“সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের প্রক্রিয়াই হলো Governance।” -
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায় যে, সুশাসন মূলত চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 3 weeks ago
A
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
B
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
C
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
D
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
সুশাসন এবং এর পূর্বশর্ত
সুশাসন বলতে বোঝায় একটি দেশের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার এমন অবস্থা যেখানে সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায়নিষ্ঠভাবে, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধভাবে পরিচালিত হয়। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি ও কুশাসন কমানো।
-
ইংরেজিতে: Good Governance
-
ধারণার উৎস: বিশ্বব্যাংক
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের ধারণা প্রদান করে।
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা দেয়।
-
সুশাসনের গুরুত্ব:
-
দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সুশাসনের মূল নীতি:
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
সুশাসনের পূর্বশর্তসমূহ:
-
আইনের শাসন – দেশের সকল নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি সম্মান দেখায়।
-
স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা – প্রশাসন খোলামেলা এবং নাগরিকদের জন্য বোঝার উপযোগী হয়।
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন – সেবা জনগণের কল্যাণমুখী হয়।
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা – জনগণ নীতি প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে পারে।
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা স্বাধীন প্রচারমাধ্যম – জনগণ তথ্য পায় এবং নিজের মত প্রকাশ করতে পারে।
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility) – কর্মকর্তারা তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি থাকে।
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ – কেন্দ্রীয় শক্তি সীমিত করে স্থানীয় ও নিম্নতর স্তরে ক্ষমতা প্রদান।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা – রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীন নির্বাচন।
-
বাকস্বাধীনতা – জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বৈধতা – আইন প্রয়োগে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, পৌরনীতি ও সুশাসন; প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 3 weeks ago