অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে আইনের উৎস নয় কোনটি?
A
বিচারকের রায়
B
বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
C
সার্বভৌমের আদেশ
D
ন্যায়বিচার
উত্তরের বিবরণ
আইনের উৎস (অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে)
অধ্যাপক হল্যান্ড আইনের উৎস ৬টি হিসেবে উল্লেখ করেছেন:
১. প্ৰথা
২. ধর্ম
৩. বিচারকের রায়
৪. ন্যায়বিচার
৫. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
৬. আইনসভা

0
Updated: 11 hours ago
ব্যক্তি সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করে -
Created: 1 week ago
A
সুশাসনের শিক্ষা থেকে
B
আইনের শিক্ষা থেকে
C
মূল্যবোধের শিক্ষা থেকে
D
কর্তব্যবোধ থেকে
সহনশীলতা
সহনশীলতা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের অন্যতম প্রধান গুণ। এটি শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো সহনশীলতা, কারণ গণতন্ত্র টিকে থাকতে হলে ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করার মানসিকতা থাকতে হয়।
অন্যের মতামত বা আচরণ আমাদের সাথে না মিললেও সেটিকে সম্মান করার মধ্যেই প্রকৃত সহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়। সহনশীলতা থাকলে সমাজে অশান্তি ও উত্তেজনা কমে যায় এবং সুখী ও সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে।
ব্যক্তির নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা থেকেই সহনশীলতার মানস গড়ে ওঠে। তাই ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন—সব ক্ষেত্রেই সহনশীলতা অপরিহার্য।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো -
Created: 1 week ago
A
গণতন্ত্র
B
বিচার ব্যবস্থা
C
সংবিধান
D
আইনের শাসন
আইনের শাসন
আইনের শাসন বলতে বোঝায় যে, সমাজের সকল নাগরিকের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। অন্য কথায়, আইন সকলের জন্য সমান ও ন্যায়সংগত হবে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য কমে যায়। এর ফলে সমাজে স্থিতিশীলতা আসে এবং শান্তি বিরাজ করে। নাগরিকরা তাদের অধিকার কেবল আইন অনুযায়ী সুরক্ষিত ও বাস্তবায়ন করতে পারে।
অন্যদিকে, আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী ও গরিব, শক্তিশালী ও দুর্বলের মধ্যে বৈষম্য বাড়ে। এছাড়াও, মায়া, সহমর্মিতা, ন্যায় ও নীতি-আদর্শের অবনতি ঘটে। সুতরাং, সভ্য ও সমৃদ্ধ সমাজের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 3 weeks ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago