প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায় - এগুলোকে সদ্গুণ হিসেবে উল্লেখ করেন কে?
A
এরিস্টটল
B
সক্রেটিস
C
প্লেটো
D
জন লক
উত্তরের বিবরণ
সদ্গুণ
-
ইংরেজিতে যাকে Virtue বলা হয়, বাংলায় তাকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
মানুষের চরিত্রের যে সব লক্ষণগুলো তার চরিত্রের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে, তাদেরকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
প্লেটো চারটি প্রধান সদ্গুণ (Cardinal Virtues) উল্লেখ করেছেন:
-
প্রজ্ঞা
-
সাহস
-
আত্মনিয়ন্ত্রণ
-
ন্যায়
-
-
এদের মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ অত্যাবশ্যকীয় সদ্গুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
অ্যারিস্টটলের মতে, এই সদ্গুণগুলো অভ্যাসের মাধ্যমে অর্জিত হয় এবং কম-বেশি স্থায়ী মেজাজের রূপ নেয়।
-
নৈতিক সদ্গুণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো সময় এবং সমাজভেদে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ভিন্ন হতে পারে।
-
অ্যারিস্টটল তাঁর বিখ্যাত পুস্তক নিকোমেকীয়ান এথিক্স এ সদ্গুণ উদ্ভবের কারণ হিসেবে জীবনে মধ্যপথ অবলম্বনের ওপর জোর দেন।

0
Updated: 11 hours ago
একজন জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ হলো-
Created: 3 weeks ago
A
স্বাধীনতা
B
ক্ষমতা
C
কর্মদক্ষতা
D
জনকল্যাণ
জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ: জনকল্যাণ
জনপ্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের সাফল্য ও স্থায়িত্ব প্রধানত জনমতের উপর নির্ভরশীল। কারণ:
-
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সরকার জনমতের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
-
সরকার ও শাসক জনমতকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
-
সদা সচেতন জনমত স্বেচ্ছাচার রোধ করে এবং গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।
জনমতের প্রভাব সরকারের কাজকর্মে:
-
জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জনমত মুখ্য ভূমিকা রাখে।
-
জনকল্যাণমূলক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকার জনমতের দিকে লক্ষ্য রাখে।
-
জনমতের চাপের ফলে সরকার প্রগতিশীল ও যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
-
জনমত সরকারের প্রতি ইতিবাচক থাকলে সরকার দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনেও জনমতের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 3 weeks ago
তথ্য পাওয়া মানুষের কী ধরনের অধিকার?
Created: 1 week ago
A
রাজনৈতিক অধিকার
B
অর্থনৈতিক অধিকার
C
মৌলিক অধিকার
D
সামাজিক অধিকার
অধিকার
-
অধিকার সাধারণত বোঝায়—নিজের ইচ্ছানুযায়ী কিছু করা বা পাওয়া।
-
তবে আইনবিরোধী কাজকে অধিকার বলা যায় না, কারণ তা স্বেচ্ছাচার।
-
অধ্যাপক আনেস্ট বার্কার বলেছেন— কোনো বিষয় তখনই প্রকৃত অধিকার হিসেবে গণ্য হবে যখন রাষ্ট্র তা স্বীকার করবে এবং তা রক্ষার ব্যবস্থা নেবে।
-
অর্থাৎ রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক অনুমোদিত সুযোগ বা সুবিধাকেই অধিকার বলা হয়।
-
যেমন: পরিবার গঠন, শিক্ষা গ্রহণ, ভোট দেওয়া, নির্বাচিত হওয়া—এসব অধিকার রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত।
মৌলিক অধিকার
-
মৌলিক অধিকার হলো নাগরিক জীবনের উন্নয়ন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য অপরিহার্য শর্ত, যা রাষ্ট্রের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়।
-
এগুলো সংবিধানে লিখিত থাকায় সাংবিধানিক আইনের মর্যাদা পায়।
-
ফলে সরকার এসব অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
-
নাগরিকরা কোনো সরকারি বাধা ছাড়াই এগুলো ভোগ করতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ দিক
-
মৌলিক অধিকারের উৎস: রাষ্ট্রের সংবিধান।
-
রক্ষক: রাষ্ট্র ও সংবিধান।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
তথ্য পাওয়া মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।
উৎসঃ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি সুশাসনের মূলনীতি?
Created: 11 hours ago
A
কর্তৃত্ববাদী শাসন
B
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
C
স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব
D
কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
সুশাসন
-
সু-শাসন হলো এক ধরণের শাসন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয়।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
সুশাসনের ধারণা সর্বপ্রথম প্রদান করে বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম সুশাসনের ধারণা ব্যবহার করে।
-
জাতিসংঘের সংস্থা UNDP সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
সুশাসন দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন।
-
সুশাসনের মূলনীতি হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

0
Updated: 11 hours ago