নৈতিকতার বড় রক্ষাকবচ কোনটি?
A
আইন
B
বিবেকের দংশন
C
সামাজিক মূল্যবোধ
D
ধর্মীয় বিশ্বাস
উত্তরের বিবরণ
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে।
-
নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ মানসিক বিষয়।
-
নৈতিকতা বা নীতিবোধ একান্তভাবেই মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত।
-
ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতি থেকেই নৈতিকতার বিকাশ ঘটে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য
-
নীতিবান মানুষ ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদির মানদণ্ডে নিজেরাই চলার চেষ্টা করে।
-
নৈতিকতার পিছনে সার্বভৌম রাষ্ট্র কর্তৃত্বের সমর্থন থাকে না।
-
নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়, রাষ্ট্র নৈতিকবিধি প্রয়োগ করে না।
-
নৈতিকতা বিরোধী ব্যক্তিকে রাষ্ট্র কোনো প্রকার দৈহিক শাস্তি দেয় না, বিবেকের দংশনই নৈতিকতার বড় রক্ষাকবচ।
উল্লেখযোগ্য দিক
-
নৈতিকতা মূলত ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যাপার।
-
এটি মানুষের মানসিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার প্রধান লক্ষ্য।
0
Updated: 1 month ago
কোন মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে নাগরিকেরা নিজ-নিজ অধিকার ভোগ ও কর্তব্য সম্পাদনে তৎপর হয়?
Created: 1 month ago
A
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
B
সামাজিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গুরুত্ব
-
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গুরুত্ব অপরিসীম।
মূল দিকসমূহ:
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মানুষকে সহনশীলতার শিক্ষা দেয়, যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
-
অন্যের মতামত বিশেষ করে বিরুদ্ধ মত সহ্য ও বিবেচনা করা গণতন্ত্রকে ত্বরান্বিত করে।
-
এহেন মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি হলে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
-
এটি নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে।
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা নাগরিককে অধিকার ভোগ ও কর্তব্য সম্পাদনে তৎপর করে।
-
সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবার প্রতি সমান দৃষ্টি দেয়।
-
জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যমতে পৌঁছানো কেবল এ মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমেই সম্ভব।
-
সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যসম্পাদনকারীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন হওয়া জরুরি।
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত ব্যক্তি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ থেকে বিরত থাকে।
0
Updated: 1 month ago
ই-গভর্নেন্সের ফলে কী কী সুফল অর্জিত হয়?
Created: 1 month ago
A
সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়
B
সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়
C
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়
D
উপরের সবগুলো
ই-গভর্নেন্স ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও সেবা জনগণের নিকট পৌঁছানো প্রক্রিয়াকেই বোঝায়। এর পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক গভর্নেন্স।
-
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
ই-গভর্নেন্সের প্রধান লক্ষ্য হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
এটি সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে।
-
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
-
সরকারের জবাবদিহিতা উন্নত হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অগ্রগতির প্রধান সোপান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আত্মসংযম
B
শৃঙ্খলাবোধ
C
দায়িত্বশীলতা
D
ন্যায়বিচার
শৃঙ্খলাবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উন্নতি ও অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। এটি শুধু সামাজিক স্থিতিশীলতাই নিশ্চিত করে না, বরং জাতীয় উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য।
-
সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অগ্রগতির প্রধান সোপান হলো শৃঙ্খলাবোধ।
-
যে জাতি যত বেশি সুশৃঙ্খল, সেই জাতি তত বেশি উন্নত।
-
সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ব্যক্তির নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পায় এবং সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়।
-
পরিবার থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত ও কলকারখানাসহ সর্বত্র শৃঙ্খলার প্রয়োজন।
-
শৃঙ্খলা মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করে এবং সমাজজীবনকে উন্নতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
0
Updated: 1 month ago