সুশাসনের পূর্বশর্ত কী?
A
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
B
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
C
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
D
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের পূর্বশর্ত
যেকোনো দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো সুশাসন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু পূর্বশর্ত প্রয়োজন।
সুশাসনের পূর্বশর্তগুলো হলো:
-
আইনের শাসন
-
স্বচ্ছতা
-
জবাবদিহিতা
-
গ্রহণযোগ্যতা
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা / স্বাধীন প্রচারমাধ্যম
-
দায়বদ্ধতা
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা
-
অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ততা
-
বাকস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
বৈধতা

0
Updated: 11 hours ago
সুশাসন দ্বারা শাসনের কোন দিকটি বুঝায়?
Created: 11 hours ago
A
বিপরীত দিক
B
পরিমানগত দিক
C
গুণগত দিক
D
কোনটি নয়
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন দ্বারা শাসনের গুণগত দিক বোঝানো হয়।
-
অর্থ: রাষ্ট্র, সমাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।
-
সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক ও আপেক্ষিক।
-
অর্থ: নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
উদ্ভাবক: বিশ্বব্যাংক, যা ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয় ব্যবহার করে।
-
সুশাসন সব সময় সকলের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করে।
-
চিহ্নিতকরণে জোর:
-
সরকারি খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা
-
উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
অবাধ তথ্য প্রবাহ
-

0
Updated: 11 hours ago
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে -
Created: 1 week ago
A
দুর্নীতি দূর হয়
B
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
C
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
D
কোনোটিই নয়
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের গুরুত্ব
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুঁজি বিনিয়োগ ও নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের উন্নয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় এবং বেকারত্ব কমায়। যেহেতু অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সরাসরি সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
মূল্যবোধ দৃঢ় হয়-
Created: 5 days ago
A
শিক্ষার মাধ্যমে
B
সুশাসনের মাধ্যমে
C
ধর্মের মাধ্যমে
D
গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতি, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। মূল্যবোধ মূলত মানুষের আচরণের মাধ্যমে বিকশিত হয় এবং শিক্ষার মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করা যায়। জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে, যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষার ধরণ ও প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে।
শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মূল্যবোধ অর্জন, যা জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়। মানুষের শিক্ষাজীবনকে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের সর্বোত্তম সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মূল্যবোধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচরণের মাধ্যমে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
-
পরিবার হলো মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক উৎস।
-
বিদ্যালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান উৎস।
-
মানুষের জন্মকাল থেকে শুরু হওয়া মূল্যবোধ শিক্ষা আমৃত্যু চলতে থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরন ও প্রভাব পরিবর্তিত হয়।
-
শিক্ষাজীবন ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 5 days ago