'মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান।' - পংক্তিটির রচয়িতা-
A
বিদ্যাপতি
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
গােবিন্দদাস
D
কৃষ্ণদাস কবিরাজ
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী—তিনি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ-সংস্কারক। প্রধানত কবি হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয়।
-
তিনি রচিত ‘গীতাঞ্জলি’ অবলম্বনে ইংরেজি অনুবাদ ‘Song Offerings’ ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি বাংলা ‘গীতাঞ্জলি’ জন্য নয়, বরং ইংরেজি অনুবাদ ‘Song Offerings’ এর জন্য।
-
ব্রিটিশ সরকার ১৯১৫ সালে তাকে নাইটহুড উপাধি প্রদান করে।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে তাকে ডি. লিট্ উপাধি প্রদান করে।
আধুনিক কবিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পদাবলী রচনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
-
পদাবলী নিয়ে তার রচিত কাব্যের নাম ‘ভানুসিংহের পদাবলী’, যার বেশির ভাগ পদ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
-
গ্রন্থটি ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এর অন্তর্গত একটি লেখা: ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান! মেঘ বরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট রক্ত কমল কর.......’
0
Updated: 1 month ago
কোনটি রবীন্দ্ররচনার অন্তর্গত নয়?
Created: 2 months ago
A
"কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?"
B
"অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।"
C
"প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?"
D
"কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে।"
"অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।"- পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্ররচনার অন্তর্গত নয়।
অন্যদিকে,
• 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শেষের কবিতা' উপন্যাসের একটি বিখ্যাত লাইন।
• "প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?"- পঙ্ক্তি' রবীন্দ্রনাথের 'রাজা' নাটকের অন্তর্গত আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে কবিতার অন্তর্ভুক্ত।
• 'কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে - এ পঙক্তিটি রবীন্দ্রনাথ রচিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' কবিতার অন্তর্গত।
---------------------------
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
- তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
- মাত্র পনের বছর বয়সে তাঁর 'বনফুল' কাব্য প্রকাশিত হয় এবং এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
• তাঁর রচিত উপন্যাস:
- ঘরে-বাইরে,
- চোখের বালি,
- শেষের কবিতা,
- যোগাযোগ,
- নৌকাডুবি,
- বউ ঠাকুরানীর হাট,
- দুই বোন,
- মালঞ্চ,
- চতুরঙ্গ,
- গোরা,
- রাজর্ষি,
- চার অধ্যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 2 months ago
শুদ্ধ বাক্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিদ্বান হলেও তার কোনাে অহংকার নেই।
B
ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
C
অকারণে ঋণ করিও না।
D
হয়তাে সােহমা আসতে পারে।
অশুদ্ধ বাক্য হলো: অকারণে ঋণ করিও না। এই বাক্যটি গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শব্দের যথাযথতা হারিয়েছে। এর শুদ্ধ রূপ হবে: অকারণে ঋণ করো না।
গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কিত তথ্যগুলো:
-
গুরুচণ্ডালী দোষ হলো তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের ব্যবহার থেকে যে ধরনের ভুল বা অশুদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
-
কখনও কখনও তৎসম এবং দেশীয় শব্দের সংমিশ্রণ শব্দের যোগ্যতা নষ্ট করে এবং তা অশুদ্ধ বা অনুচিত হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে তৎসম শব্দগুলো হলো: গরুর গাড়ি, শবদাহ, মড়াপোড়া। এগুলোর গঠন এবং অর্থ সঠিক এবং কোনো সমস্যা নেই।
-
কিন্তু যদি তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দ মিশ্রিত করা হয়, যেমন: গরুর শকট, শবপোড়া, মড়াদাহ, তখন শব্দগুলো গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ব্যবহার অনুচিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন ব্যক্তি 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না?
Created: 1 month ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ
B
এস ওয়াজেদ আলি
C
আবুল ফজল
D
আবদুল কাদি
ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এর কার্যক্রম চলে। এটি মুসলিম সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সমাজের মূলমন্ত্র ছিল 'বুদ্ধির মুক্তি' এবং এর স্লোগান ছিল, "জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।"
-
প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন আবুল হুসেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী, কাজী আবদুল ওদুদ, আবদুল কাদির, আবুল ফজল, আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ।
-
বুদ্ধির মুক্তি বলতে তারা বোঝাতেন অন্ধ সংস্কার ও শাস্ত্রানুগত্য থেকে মানুষের বিচারবুদ্ধিকে মুক্ত করা।
-
সংগঠনটি নবজাগরণের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজকর্ম ও সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হয়েছিল, যার পেছনে প্রভাবিত ছিল মুস্তফা কামাল পাশার তুর্কি জাতি প্রতিষ্ঠার উদ্যম, ভারতের নবজাগরণে বিভিন্ন মণিষীর প্রয়াস, এবং মানবতার উদ্বোধনে সর্বকালের চিন্তাচেতনার সংযোগ।
-
১৯২৭ সালে সংগঠনটি 'শিখা' নামে একটি বার্ষিক মুখপত্র প্রকাশ শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন ছিলেন প্রথম সংখ্যার সম্পাদক।
-
উল্লেখ্য, এস ওয়াজেদ আলী 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
0
Updated: 1 month ago