মীর মশাররফ হােসেনের ‘বিষাদসিন্ধু' একটি -
A
মহাকাব্য
B
ইতিহাস গ্রন্থ
C
উপন্যাস
D
ইতিহাস-আশ্রিত জীবনীগ্রন্থ
উত্তরের বিবরণ
মীর মশাররফ হোসেন রচিত বিষাদ-সিন্ধু একটি ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস, যা কারবালার কাহিনীকে কেন্দ্র করে গঠিত। উপন্যাসে ইতিহাসের মূল সত্যতা বজায় রাখা হলেও এটি ইতিহাসের অন্ধ অনুসরণ করে না।
মূল কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হাসান ও হোসেনের সঙ্গে দামেস্ক অধিপতি মাবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের কারবালা প্রান্তরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ইমাম হাসান ও হোসেনের করুণ মৃত্যুকাহিনী।
উপন্যাসের প্রধান তিনটি পর্ব:
-
মহরম পর্ব
-
উদ্ধার পর্ব
-
এজিদ-বধ পর্ব
মীর মশাররফ হোসেনের অন্যান্য রচনা:
কাব্যগ্রন্থ:
-
মোসলেম বীরত্ব
-
গড়াই ব্রিজ বা গৌরী সেতু
উপন্যাস:
-
রত্নাবতী
-
বিষাদ-সিন্ধু
-
গাজী মিয়ার বস্তানী
0
Updated: 1 month ago
মীর মশার্রফ হোসেন রচিত গ্রন্থ কোনটি?
Created: 5 hours ago
A
বিষাদসিন্ধু
B
মহাশ্মশান
C
ভ্রান্তবিলাস
D
কথোপকথন
বাংলা সাহিত্যে মীর মশাররফ হোসেন এমন একজন লেখক যিনি সমাজ, ধর্ম ও মানবতার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘বিষাদসিন্ধু’, যা তাঁকে বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে এক বিশেষ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই গ্রন্থটি শুধু একটি উপন্যাস নয়, বরং তা বাঙালি মুসলমান সমাজে সাহিত্যিক জাগরণের অন্যতম নিদর্শন।
• ‘বিষাদসিন্ধু’ রচনার সময়কাল ১৮৮৫ থেকে ১৮৯১ সালের মধ্যে। এটি তিন খণ্ডে প্রকাশিত হয় এবং মূলত কারবালা যুদ্ধের মর্মান্তিক কাহিনিকে কেন্দ্র করে রচিত। এখানে ইসলামের ইতিহাস, মানবিক মূল্যবোধ ও আত্মত্যাগের আদর্শ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
• এই উপন্যাসে হযরত ইমাম হোসেন (রঃ) ও তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগের কাহিনি অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। লেখক ইতিহাসের ঘটনাকে সাহিত্যিক রূপে প্রকাশ করে পাঠকের আবেগকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছেন।
• মীর মশাররফ হোসেনের লেখনীর বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর ধর্মীয় আবেগ, বাস্তব সমাজচেতনা ও মানবিক মূল্যবোধের মিশ্রণ। ‘বিষাদসিন্ধু’-তে তিনি কেবল ধর্মীয় বিষয় নয়, মানুষের নৈতিক সংকট ও সহানুভূতির কথাও তুলে ধরেছেন।
• ভাষা ও শৈলীতে তিনি ব্যবহার করেছেন মধ্যযুগীয় প্রভাবযুক্ত কিন্তু আবেগপূর্ণ বাংলা। তাঁর বর্ণনা পাঠককে ইতিহাসের ভেতরে নিয়ে যায় এবং চরিত্রগুলোর মানসিক দিক স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
• ‘বিষাদসিন্ধু’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকের দীর্ঘ উপন্যাসগুলোর একটি। এটি বাংলা মুসলিম সমাজে উপন্যাসধারার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ধর্মীয় হলেও তাঁর সাহিত্যিক উপস্থাপনা ছিল সর্বজনীন মানবতার প্রতীক।
• উপন্যাসটির মাধ্যমে মীর মশাররফ হোসেন প্রমাণ করেন যে, তিনি শুধু একজন গল্পকার নন, বরং বাংলা মুসলিম সমাজে সাহিত্যচর্চার পথিকৃৎ। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে ‘গজাল-ই-বদর’, ‘জীবন চরিত’, ‘রচনাবলী’, ‘রাত্রিদৃষ্টি’, ‘তারা বালিকা’ প্রভৃতি।
• ভুল বিকল্পগুলোর মধ্যে –
‘মহাশ্মশান’ রচনা করেছেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, যা কবিতার সংকলন।
‘ভ্রান্তবিলাস’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা, যা একটি সামাজিক উপন্যাস।
‘কথোপকথন’ লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যা প্রবন্ধধর্মী রচনা।
অতএব, সঠিক উত্তর ‘বিষাদসিন্ধু’, যা মীর মশাররফ হোসেনকে বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য স্থান দিয়েছে এবং ধর্মীয় ইতিহাসকে সাহিত্যরূপে অমর করে রেখেছে।
0
Updated: 5 hours ago
মীর মশাররফ হোসেন রচিত প্রথম গ্রন্থের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
রত্নবতী
B
বসন্তকুমারী
C
বিষাদ-সিন্ধু
D
জমীদার দর্পণ
রত্নবতী
-
গ্রন্থ: ‘রত্নবতী’ মীর মশাররফ হোসেন রচিত প্রথম গ্রন্থ।
-
প্রকাশ: ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত।
-
ধরণ: রূপকথা জাতীয় শিক্ষামূলক দীর্ঘ গল্প।
-
বিষয়বস্তু: রাজপুত্র সুকুমার ও মন্ত্রীপুত্র সুমন্তের মধ্যে ‘ধন বড় না বিদ্যা বড়’ বিতর্ক ও তার সমাধান।
-
গুরুত্ব: মুসলিম সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রথম ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান গ্রন্থ।
মীর মশাররফ হোসেন
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া।
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
-
অ্যাক্টিভিটি: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও গ্রামবার্তার মফঃস্বল সংবাদদাতা; ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’ পত্রিকা সম্পাদনা।
-
গুরুত্ব: বঙ্কিমযুগের প্রধান গদ্যশিল্পী; উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
রচিত নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
রচিত উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
রচিত অন্যান্য গ্রন্থ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
0
Updated: 1 month ago
মীর মশাররফ হোসেনের জন্মস্থান-
Created: 1 month ago
A
ঢাকা
B
বিক্রমপুর
C
কুষ্টিয়া
D
যশোর
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক, যিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের যুগে গদ্যশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
সাহিত্যজীবনের সূচনা: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর এবং কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেই তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু।
-
সাহিত্যগুরু: গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক ‘কাঙাল হরিনাথ’ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
-
সম্পাদনা কার্যক্রম: তিনি আজিজননেহার এবং হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন।
-
সাহিত্যিক পরিচয়: মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
0
Updated: 1 month ago