'খােকা' ও 'রঞ্জু' মাহমুদুল হক-এর কোন উপন্যাসের চরিত্র?
A
কালাে বরফ
B
খেলাঘর
C
অনুর পাঠশালা
D
জীবন আমার বােন
উত্তরের বিবরণ
মাহমুদুল হক বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত লেখক, যিনি বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিশালী কথাশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখনশৈলী এবং শব্দচয়নের নিখুঁত মুনশিয়ানা পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
-
বাংলা সাহিত্যে অবদান: মাহমুদুল হককে বাংলার কথাসাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
লেখনশৈলী: তাঁর ভাষা ও শব্দচয়নের ব্যবহার অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও প্রাঞ্জল।
-
প্রধান উপন্যাসসমূহ:
-
কালো বরফ: দেশবিভাগের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
জীবন আমার বোন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
-
খেলাঘর: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাহিনী।
-
অনুর পাঠশালা
-
নিরাপদ তন্দ্রা
-
অশরীরী
-
পাতালপুরী
-
মাটির জাহাজ
-
-
জীবন আমার বোন উপন্যাসের তথ্য:
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে।
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র জাহিদুল কবির খোকা, একজন নির্লিপ্ত ও জীবন পলাতক ব্যক্তি।
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: মুরাদ, রহমান, ইয়াসিন, রঞ্জু প্রমুখ।
-
0
Updated: 1 month ago
'জয়গুন' কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 3 months ago
A
জননী
B
সূর্য-দীঘল বাড়ী
C
সারেং বৌ
D
হাজার বছর ধরে
• 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
- আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ১৯৫৫সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত দলিল এই গ্রন্থ।
- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তিনি রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী'।
- জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
• উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
- হাসু,
- মায়মুন,
- শাফি,
- ডা. রমেশ চক্রবর্তী,
-মোরল গদু ইত্যাদি।
---------------------
• আবু ইসহাক:
- আবু ইসহাক কথাসাহিত্যিক, অভিধান-প্রণেতা। জন্ম শরিয়তপুর জেলার শিরঙ্গল গ্রামে, ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর।
- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় আবু ইসহাকের ‘অভিশাপ’ নামে একটি গল্প প্রকাশিত হয়।
- পরে কলিকাতার সওগাত, আজাদ প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর বিভিন্ন রচনা প্রকাশিত হয়।
- আবু ইসহাকের দ্বিতীয় উপন্যাস পদ্মার পলিদ্বীপ (১৯৮৬); এ উপন্যাসে পদ্মার বুকে জেগে-ওঠা চরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-সংগ্রামের কথা আছে।
- ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• আবু ইসহাক রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
- পদ্মার পলিদ্বীপ,
- জাল।
• গল্পগ্রন্থ:
- হারেম,
- মহাপতঙ্গ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
'চন্দরা' চরিত্রের স্রষ্টা কে?
Created: 2 months ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
সৈয়দ শামসুল হক
চন্দরা ও ‘শাস্তি’ ছোটগল্প
-
চরিত্র পরিচিতি:
‘শাস্তি’ গল্পের প্রধান চরিত্র চন্দরা। চন্দরা একজন তীব্র ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী, যিনি সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর হলেও দৃঢ়চিত্ত ও সাহসী। -
গল্পের সংক্ষিপ্ত কাহিনি:
গল্পে চন্দরার বড় ভাই রাগের বশে তার স্ত্রীকে হত্যা করে এবং দোষ চাপিয়ে দেয় ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চন্দরার উপর। নিজের স্বামীর কথায় চন্দরা স্তব্ধ হয়ে যায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকেই মানতে হয় তাকে। -
গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ:
চন্দরার স্বামীর একটি সংলাপ—
“ঠাকুর, বউ গেলে বউ পাইব কিন্তু আমার ভাই ফাঁসি গেলে আর তো ভাই পাইব না।”
-
অন্যান্য চরিত্র:
-
দুখিরাম
-
ছিরাম
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য ছোটগল্পের চরিত্র উদাহরণ
| গল্প | চরিত্র |
|---|---|
| একরাত্রি | সুরবালা |
| নষ্টনীড় | চারুলতা |
| সমাপ্তি | মৃন্ময়ী |
| শাস্তি | চন্দরা |
| পোস্টমাস্টার | রতন |
উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পসমূহ
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
নিশীতে
-
মণিহারা
-
কঙ্কাল
-
রবিবার
-
শেষকথা
-
পোস্টমাস্টার
-
ল্যাবরেটরি
-
দেনাপাওনা
-
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
-
যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ
-
অনধিকার প্রবেশ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শাস্তি ছোটগল্প।
0
Updated: 2 months ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই কি ধরনের চরিত্র?
Created: 3 months ago
A
শ্রী রাধার ননদিনী
B
শ্রী রাধার শাশুড়ি
C
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
D
জনৈক গোপবালা
‘বড়ায়ি’ ছিলেন রাধাকৃষ্ণ প্রেমপর্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ দূতী চরিত্র।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রাচীনতম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিশেষভাবে স্বীকৃত।
১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ।
পুথিটির প্রারম্ভে কোনো শিরোনাম অনুপস্থিত থাকায়, আবিষ্কারক বসন্তরঞ্জন রায়ই একে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে অভিহিত করেন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও চিহ্নিত করা হয়।
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর উদ্যোগে এই পুথিটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায়।
চলমান পাণ্ডুলিপির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় কবির পরিচয় নির্দিষ্টভাবে পাওয়া না গেলেও, কবিতায় পাওয়া “চণ্ডীদাস” ও “বড়ু চণ্ডীদাস” নামের ভিত্তিতে এই কাব্যের রচয়িতা হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাস-কে গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কাব্যটি মূলত এক গীতি-আলেখ্য যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমপর্বের নানা রূপ ও পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে তিনটি মুখ্য চরিত্র—শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি—যারা কাব্যের কাহিনি গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত, যেগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
এই কাব্য বাংলা সাহিত্য এবং ধর্মীয় ভক্তিমূলক চর্চার এক অমূল্য নিদর্শন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 3 months ago