'বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য' গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
A
দীনেশচন্দ্র সেন
B
গোপাল হালদার
C
আহমদ শরীফ
D
সুকুমার সেন
উত্তরের বিবরণ
আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, লেখক এবং মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান গবেষক।
তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন এবং তার লেখনীর মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা ও চিন্তাজগতকে সমৃদ্ধ করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য রচনাবলি:
-
‘বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য’ – আহমদ শরীফের প্রধান গ্রন্থ।
-
সাহিত্য সংস্কৃতি চিন্তা (১৯৬৯)
-
স্বদেশ অন্বেষা (১৯৭০)
-
জীবনে সমাজে সাহিত্যে (১৯৭০)
-
বিচিত্র চিন্তা (১৯৮৬)
-
স্বদেশ চিন্তা (১৯৯৭)

0
Updated: 13 hours ago
'ইউসুফ-জোলেখা' প্রণয়কাব্য অনুবাদ করেছেন-
Created: 2 months ago
A
দৌলত উজির বাহরাম খান
B
মাগন ঠাকুর
C
আলাওল
D
শাহ্ মুহম্মদ সগীর
ইউসুফ-জোলেখা কাব্য
• ইউসুফ-জোলেখা’ শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত কাহিনি কাব্যগ্রন্থ যা রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য।
• গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে এ কাব্যর রচনা হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।
• বাইবেল ও কোরানে ইউসুফ-জোলেখার কাহিনি বর্ণিত আছে। ইরানের কবি ফেরদৌসিও এই নামে কাব্য রচনা করেছেন। সগীর বাইবেল পড়েন নি। তিনি কোরান ও ফেরদৌসির কাছে থেকেই কাহিনিসূত্র গ্রহণ করে ইউসুফ ও জোলেখার প্রণয়কাহিনি লেখেন।
• পরবর্তীতে মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ জুলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। যেমন- ইউসুফ জুলেখা নিয়ে কাব্য রচনা করেন আব্দুল হাকিম এবং শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ। তবে এই কাব্য শাহ মুহাম্মদ সগীরই প্রথম লেখেন।
------------------------------
• শাহ মুহম্মদ সগীর:
- মধ্যযুগের তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর।
- তিনি পনের শতকের কবি ছিলেন।
- গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে তিনি কাব্য রচনা করেন।
- অনুবাদ সাহিত্য বা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি - শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
- শাহ মুহম্মদ সগীরের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকর্ম ইউসুফ-জোলেখা। এটি একটি রোমান্টিক প্রনয়োপাখ্যান।
- ইউসুফ-জোলেখা কাব্যগ্রন্থের রচনাকাল অনুসারে এটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য এবং শাহ মুহম্মদ সগীর এই ধারার প্রথম কবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়িা।

0
Updated: 2 months ago
'হপ্তপয়কর' কার রচনা?
Created: 4 weeks ago
A
সৈয়দ আলাওল
B
জৈনুদ্দিন
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
অমিয় দেব
হপ্তপয়কর কাব্য
-
রচনা কাল: ‘হপ্তপয়কর’ কাব্যটি সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে রচিত।
-
রচনা স্থান: এটি আরাকান রাজসভায় সৈয়দ আলাওল রচনা করেন।
-
বিষয়বস্তু: কাব্যটি মূলত রাজপুত্র বাহরামের সাতটি রাতের কাহিনী নিয়ে গঠিত। রাজপুত্র বাহরাম সাতরাত্রি ধরে সাতজন পরির কাছে সাতটি গল্প শুনেন।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: পারসি ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘হপ্তপয়কর’ একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে।
সৈয়দ আলাওলের অন্যান্য বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম
-
পদ্মাবতী
-
হপ্তপয়কর
-
সিকান্দারনামা
-
তোহ্ফা
-
সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল ইত্যাদি
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 weeks ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কে রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
সুকুমার সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতের উপমহাদেশে দার্শনিক, শিক্ষক এবং বহুভাষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত।
‘জ্ঞানতাপস’ নামে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়াও, তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার থেকেও অধিক সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি বাঙালির ঐক্য ও পরিচয়ের গুরুত্বকে রূপায়িত করে। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ নামক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন, যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ও বিকাশকে তুলে ধরে।
ড. শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ ইত্যাদি। পাশাপাশি তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago